আরবদের নীচুজাত ভাবেন বাহরাইনের মার্কিন দূত

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাহরাইনে বাইডেন প্রশাসনের সদ্য নিশ্চিত হওয়া রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে আরবদের সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে।
এমনকি কর্মীদের সঙ্গে ‘আবর্জনা’র মতো আচরণ করারও অভিযোগ এসেছে তার বিরুদ্ধে। পারস্য উপসাগরীয় দেশ বাহরাইনে নব-নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভেন বন্ডি ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দায়িত্ব পালনকালে এ ধরনের গর্হিত কাজে জড়িয়েছিলেন।
সে সময়ের সহকর্মী ও ট্রাম্প প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তার মন্তব্য উদ্ধৃত করে তৈরি হয়েছে এ প্রতিবেদন। সোমবার পলিটিকোর গোপন সূত্র এবং বন্ডির সাবেক দুই সহকর্মীর বরাতে তৈরি এ প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের অপেশাদার মনোভাব একপর্যায়ে আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের দৃষ্টিতে পড়ে। আউটলেট অনুসারে, ট্রাম্প হোয়াইট হাউজের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এমবিজেডকে বন্ডি সম্পর্কে তার চিন্তাভাবনা জিজ্ঞাসা করেছিলেন ২০১৮ সালে একটি বৈঠকের পর। কর্মকর্তাটি স্মৃতি হাতড়ে বলেন, ‘আমরা বন্ডির ভক্ত নই। আমরা তাকে একজন ভালো মানুষ মনে করি না।
তিনি তার লোকদের সঙ্গে আবর্জনার মতো আচরণ করেন-সাধারণত নীচুজাতের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করা হয়।’ আউটলেটটি আরও রিপোর্ট করে, এই মাসের শুরুর দিকে, এখন অবসরপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা পলিটিকোকে বলেছিলেন, ‘বন্ডির মুখে সর্বদা আরবদের সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করতে শুনবেন।’ অ্যাম্বাসেডর স্টিভেন বন্ডি, একজন দীর্ঘকালীন কর্মজীবনের কূটনীতিক, যিনি ১৮ ডিসেম্বর তার সর্বশেষ পোস্টে নিশ্চিত হয়েছেন।

একজন সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা ভিক্টোরিয়া কোটস, যিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাসের বাইরে কাজ করেছিলেন। তিনি স্মরণ করেছিলেন, ‘আমি তাকে (বন্ডিকে) মধ্যপ্রাচ্যের কর্মীদের বরখাস্ত করার একটি উদাহরণ মনে করি।’

ট্রাম্প প্রশাসনের দুই সাবেক কর্মকর্তা এবং অন্য একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি পলিটিকোকে বলেছেন, তারা এই কূটনীতিককে আরবদের সম্পর্কে অপমানজনক এবং পক্ষপাতদুষ্ট কিংবা বর্ণবাদী মন্তব্য করতে শুনেছেন। কিন্তু ওই মন্তব্যগুলোর বিস্তারিত জানানো হয়নি।
বন্ডি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পলিটিকোকে বলেন, ‘আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রাচ্যের স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আমার ক্যারিয়ারকে উৎসর্গ করেছি। মধ্যপ্রাচ্যের জনগণ ও সংস্কৃতির প্রতি আমার গভীর ও স্থায়ী শ্রদ্ধা রয়েছে এবং আমার মধ্যে কোনো কুসংস্কারের আশ্রয় নেই।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.