ঘটনা সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানার মাঝিগ্রাম এলাকার মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারী তার বোনের বাড়িতে একা থাকতেন। এই সুযোগে আসামি বারী ঐ নারীকে বিভিন্নসময় প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করত। গত ১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ রাত সোয়া ১১ টায় বারী একা থাকার সুযোগে ঐ নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় ঐ নারীর চিৎকারে আসামি বারী পালিয়ে যায়। বিষয়টি তার আত্মীয়-স্বজন লোক লজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে।
এছাড়াও আসামির বারী ঐ নারীকে প্রায় সময় ধর্ষণ করত। গত ৩ জুন ২০২৪ ঐ নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার ভাগ্নি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানায় ঐ নারী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বর্তমানে ঐ নারী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঐ নারীর ভাগ্নির উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আরএমপি’র এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
আরএমপি’র শাহমখদুম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো: নূর আলম সিদ্দিকীর তত্ত্বাবধানে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের একটি টিম আসামি বারীকে দ্রুত গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেন।
পরবর্তীতে এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মনিরুজ্জামানের দিকনির্দেশনায় এসআই মো: তৌফিকুর রহমান তৌফিক ও তার টিম মামলার রুজুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গতকাল ৫ জুন দিবাগত রাত সোয়া ১২ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামি বারীকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তাকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.