আরএনবি‘র হাবিলদার ২৫ বছর থেকে একই দফতরে কর্মরত জড়িয়েছেন অনিয়ম আর দূনীতিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহী‘র (আরএনবি) একজন হাবিলদার ২৫ বছর থেকে একই দফতরে কর্মরত রয়েছেন। জড়িয়েছেন বিভিন্ন অপকর্ম, অনিয়ম আর দূনীতিতে। এনিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালচনার ঝড় উঠেছে রেলওয়ে অঙ্গনে।
ওই হাবিলদারের নাম সাইদুর রহমান। তিনি রাজশাহী রেলওয়ে নিরাপত্তা চৌকিতে ডিউটি করেন। ২০০৭ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত রেলওয়ে স্টেশনে ১০ বছর পিসি হাবিলদার পদে দায়ীত্ব পালন করা কালে গড়ে তুলেছিলেন মাদকের ট্রানজিট।
রাজশাহী গোদাগাড়ী চাঁপইনবাবগঞ্জের মাদকের গডফাদারদের সাথে সক্ষতা রেখেই রাজধানীসহ দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলে ট্রেনের মাধ্যমে পাচার করতেন মাদক। এমনি তথ্য পাওয়া গেছে রেলওয়ের একাধিক সুত্র থেকে।
সুত্র গুলি বলছে, স্টেশনের ফুটপাতে প্রায় শতাধিক দোকান রয়েছে। এসকল দোকান থেকে হাবিলদার সাইদুর রহমান নিয়মিত চাঁদা তুলেন মাসে অর্ধলক্ষাধিক টাকা। সখ্যতা রেখেছেন আরএনবি‘র গোপনীয় শাখার উচ্চমান সহকারী রুহুল আমিন প্রামনিকের সাথে। চাঁদাবাজির এক অংশ চলে যায় উচ্চমান সহকারীর পকেটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সদ্যস্যরা অভিযোগ করে বিটিসি নিউজকে বলেন, সাইদুর রহমানের গ্রামের বাড়ি জেলার সিরাজগঞ্জে। তিনি একজন দরিদ্র পরিবারের লোক। ২৫ বছর থেকে একই দফতরে চাকুরি করছেন। চাকুরির সুবাদে বিভিন্ন অনিয়ম আর দূনীতি করে হয়েছেন বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক। ১৫ লাখ টাকা ঘুষের মাধ্যমে ছেলে সাহিনকে চাকুরি দিয়েছেন বুকিং সহকারী পদে। গত দুই বছর আগে টিকেট কালোবাজির অভিযোগে ছেলে সাহিন আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত। পরে সরকার দলীয় শীর্ষ নেতার সুপারিশে ছেলেকে মুক্ত করে নিয়ে আসেন সাইদুর রহমান।
শিরোইল কলোনী এলাকায় জমি ক্রয় করে করেছেন। নির্মান করেছেন আলিশান বাড়ি। জানতে চাইলে হাবিলদার সাইদুর রহমান বিটিসি নিউজকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মো. মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.