আমের বনে মুকুলের হাসি


নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় আম গাছে আসতে শুরু করেছে মুকুল। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর গাছে আমের মুুকুলের পরিমাণ কিছুটা বেশি দেখা যাচ্ছে। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের ঘ্রাণ।
আম চাষি এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছে এবার। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর বলেও মনে করে কৃষি বিভাগ।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। আর এ কারণেই আশায় বুক বেঁধে চাষিরা আম চাষে শুরু করেছেন পরিচর্যা। তাদের আশা, চলতি মৌসুমে তারা আম থেকে অর্থনৈতিক ভাবে অনেক লাভবান হবেন।
সরেজমিনে নানা জাতের আমের বাগান ঘুরে দেখা গেছে, বাগানের সারি সারি গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই ছোট বড় অনেক মুকুল। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ। আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি।
উপজেলার সোনাপাতিল মহল্লার কাউন্সিলর আজিজুর রহমান বলেন, এবার আগে ভাগে এসেছে মুকুল। এখন আমের ফলন পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগসহ আম গাছ পরিচর্যায় সময় দিতে হচ্ছে।
দয়ারামপুর এলাকার আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমাদের আগানের অধিকাংশ গাছই মুকুলে ছেয়ে গেছে। এবার কুয়াশা কম থাকায় মুকুল ভালো ভাবে ফুটেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মমরেজ আলী বলেন, আমের মুকুল আসার আগে-পরে যেমন আবহাওয়ার প্রয়োজন, এবছর তা বিরাজ করছে। জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত আম গাছে মুকুল আসার আদর্শ সময়।
এসময়ে মুকুলের প্রধান শত্রু হচ্ছে কুয়াশা। এখন পর্যন্ত কুয়াশা কম এবং আকাশে উজ্জ্বল রোদ থাকায় আমের মুকুল ভালো ফুটছে।তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং সময়মতো আম গাছে পরিচর্যা করলে চলতি মৌসুমে আমের ভালো ফলন পাওয়া যাবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.