নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: সুখের আশা স্বপ্ন নিয়ে ১৫ বছর আগে স্ত্রী সন্তান,পরিবারের আত্মীয় স্বজন রেখে পরবাসে পারি জমান সজলু। সংসারে অভাব অনটন, ছেলে মেয়ের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে একযুগের ও বেশি কঠোর পরিশ্রম করে টাকা উপার্জনে সুখের স্বপ্ন আকছিলেন। বেপরোয়া প্রাইভেট কার তার সকল স্বপ্ন চুরমার করে বিষাদের যন্ত্রণা সংবাদ নিয়ে আসলো।
সংযুক্ত আরব আমিরাত (দুবাই) সড়ক দুর্ঘটনায় সজলু মিয়া (৪৫), নামে নবীগঞ্জেরএক প্রবাসী বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
মুহুর্তেই বেপরোয়া একটি প্রাইভেট কারের ধাক্কায় তিনি বাইসাইকেল থেকে সড়কে ছিটকে পড়েন। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শেখ খলিফা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘন্টার ব্যবধানেই মৃত্যু হয় তার।
সজলু মিয়ার মৃত্যুর সংবাদ দেশে গ্রামের বাড়ী মান্দারকান্দি জানাজানি হলে শোকের ছায়া নেমে আসে। ২ সন্তান নিয়ে বার বার মুর্চা যাচ্ছেন তার স্ত্রী। পরিবারের একমাত্র উপর্জনকারী ছিলেন তিনি। জীবিকার তাগিদে বিগত ১৫ বছর ধরে সংসারের অভাব অনটন দুর করতে পরিবার রেখে পারি জমান প্রবাসী জীবনে। ১৫ বছরের মাথায়ই এলাকার আকাশ বাতাশ বারি করে আসলো মৃত্যুর সংবাদ।
মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিলো তার প্রাণ। এ মৃত্যু যেন মানতে পারছেন তার স্ত্রী। বলছেন মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে এখন কার কাছে যাবো। কী হবে আমাদের। সুখের আশায় জীবন দেখা সজলুর স্ত্রীর অন্তরে এখন বিষাদের যন্ত্রণা। সজলুর স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী প্রবাসী। আর দেশের সকল প্রবাসীদের রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
আমি সরকারের কাছে একটাই দাবী জানাই আমার স্বামীর লাশটা দেশে আনতে সব ধরণের সহযোগীতা চাই। অন্ত্যত তার লাশটা দেখে যেন ছেলে মেয়েকে শান্তনা দিতে পারি। বুকভরা যন্ত্রণা আর দুচোখ ভরা পানি নিয়ে কথা গুলো বলছিলেন সজলু মিয়ার স্ত্রী। সরকারের সর্বোচ্চ সহযোগীতা চান তিনি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.