আমাজনের যে রহস্য ভেদ করতে পারেনি কেউ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পৃথিবীর বহু রহস্যের কূল-কিনারা করেছে অনুসন্ধানী মানুষ। তবে এমন অনেক রহস্য আছে, যা এখন পর্যন্ত ভেদ করতে পারেনি কেউই। এমনই এক রহস্যের নাম দুর্গম আমাজন জঙ্গল। লোকমুখে প্রচলিত, সুবিস্তৃত ঘন এই জঙ্গলে একবার কেউ ঢুকলে তার বের হয়ে আসা কঠিন। এ নিয়ে রয়েছে বেশ কিছু রোমাঞ্চকর গল্প।
আমাজন বনকে বলা হয় বিশ্বের বৃহত্তম রেইন ফরেস্ট। এটি দক্ষিণ আমেরিকার আটটি দেশ নিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ এবং প্রাণিকুলের জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত এই রহস্যেঘেরা আমাজন বন। অনেকে বিশ্বাস করেন, এই বনে অদ্ভুত রহস্য রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এসব রহস্য অমীমাংসিতই রয়ে গেছে।
পর্তুগিজরা বিশ্বাস করত, ঘন এই বনে লুকিয়ে আছে এক গুপ্ত শহর, যা পুরোপুরি সোনার তৈরি। এই শহরটি পরিচিত এলডোরাডো নামে। তারা বিশ্বাস করে শহরটি সোনার তৈরি এবং এখানে মূল্যবান রত্ন রয়েছে। গুপ্ত এই শহরটি নিয়ে অনেকেরই রয়েছে অজানা কৌতূহল। কি আছে এই শহরে, এ নিয়ে যেন প্রশ্নের শেষ নেই।
পর্তুগিজদের এই বিশ্বাসটি মূলত আসে প্রাচীন বিভিন্ন গ্রিক গল্প থেকে। যেখানে বলা হয়, লুকিয়ে থাকা এ শহরটি পাহারা দেয় এক শ্রেণির নারী যোদ্ধারা, যাদের আমাজন নামে অভিহিত করা হয়। পর্তুগিজ, স্পেনিশ, ফ্রেঞ্চ অভিযাত্রীরা একসময় প্রতিযোগিতায় নামে এই বনটিকে আবিষ্কার করার জন্য। কিন্তু শত চেষ্টার পরও কেউ পায়নি এই লুকায়িত শহরের খোঁজ। তবে এমন কোনো শহরের হদিস না পেলেও বনটির নাম হয়ে যায় আমাজন।
দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের উত্তর ভাগে অবস্থিত এই বনটি প্রায় ৬০ শতাংশ রয়েছে ব্রাজিলে। জানা যায়, আমাজন বনে এখন অনেক অজানা উপজাতির বসবাস রয়েছে। এসব উপজাতি আধুনিক জগত থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকে। তাদের সংস্কৃতি ও জীবন সম্পর্কে বেশি কিছু জানা যায় না। বাইরের বিশ্ব সম্পর্কে তাদের তেমন কোনো ধারণাও নেই।
আমাজন বনে বরফ যুগের বেশ কিছু চিত্রকর্ম পাওয়া গেছে। চিত্রকর্মে দেখা যায়, এসব অঞ্চল একটা সময় বরফ যুগে ঢাকা ছিল। এসব চিত্র কীভাবে এসেছে তা নিয়ে রয়েছে অনেক প্রশ্ন। স্থানীয় উপজাতি এসব চিত্র তৈরি করেছে বলে অনেকে বিশ্বাস করেন।
২০১৩ সালে আমাজনের মধ্যে একটি অদ্ভুত কাঠামো পাওয়া যায় যা অনেকের কাছেই অপরিচিত ছিল। কেউ মনে করেন এটি একটি মাকড়সার বাসা হতে পারে। অনেকে মনে করেন এটি প্রাচীন সংস্কৃতির একটি প্রতীক। সব কিছু মিলিয়ে আমাজন বন যেন এক রহস্যের চাদরে ঢাকা থাকবে আজন্ম কাল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.