আমরা যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞা চাই না, শান্তি চাই : প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি: সারা বিশ্বের চলমান অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ও দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সব সময়ই যুদ্ধের বিপক্ষে এবং শান্তির পক্ষে। যুদ্ধের কী ভয়াবহ পরিণতি সেটা আমরা জানি। আমরা এর ভুক্তভোগী। আমরা যুদ্ধ চাই না, স্যাংশন চাই না, শান্তি চাই।
আজ শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছান শেখ হাসিনা। এসময় মুহুর্মুহু স্লোগানে মুখরিত হয় ওঠে পুরো সমাবেশস্থল। শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। প্রথমে শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। একই সময়ে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। একইসঙ্গে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
সম্মেলনে তাঁর সরকারের আমলে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, মোবাইলফোন সেবা, ইন্টারনেট সেবাসহ নানামুখী উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ আমরা মোকাবিলা করেছি। বিনামূল্যে আমরা টিকা দিয়েছি। চিকিৎসাসেবা বিনামূল্যে দিয়েছি। স্বাস্থ্যসেবা দিতে ২২ হাজার ডাক্তার, ৪০ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি। দেশের মানুষকে নগদ অর্থ সেবা দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পহেলা জানুয়ারি থেকে বিনামূল্যে বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেব। শুধু বই নই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করে দিচ্ছি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য ইন্টারনেট, কম্পিউটার ল্যাব ডিজিটাল সেবা উন্নয়ন করা হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, নিষেধাজ্ঞা চাই না। যুদ্ধের কি ভয়াবহতা তা আমরা দেখেছি ১৯৭১ সালে। যুদ্ধে মা-বোন, শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যাহত করছে। করোনা মহামারি থেকে আমরা উঠে দাঁড়িয়েছি। এর মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব নেতৃত্বের কাছে আহ্বান করব ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করুন। তাদেরকে উসকানি দেওয়া বন্ধ করেন। আমরা শান্তি চাই। কোভিডের অভিঘাত থেকে কেবলই আমরা বেরিয়ে আসছিলাম। এখন এই স্যাংশন সকল অগ্রযাত্রাকে নষ্ট করছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.