আমদীঘিতে স্বামীর অমানবিক নির্যাতনে স্ত্রীর হাত ভেঙ্গে হাসপাতালে


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: পারিবারিক কলহকে কেন্দ্র করে স্বামী আসলামের লোহার রডের অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে স্ত্রী ফজিলাতুন নেছা (৩৫) আদমদীঘি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ফজিলাতুন নেছা আদমদীঘির চাটখইর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে।

সকালে দুপচাঁচিয়ার শেরপুর গ্রামে স্বামীর বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে অসুস্থ্য ফজিলাতুন নেছা সাংবাদিকদের জানান এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।

আদমদীঘির নসরতপুর ইউপির চাটখইর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে ফজিলাতুন নেছার সাথে দুপচাঁচিয়ার শেরপুর গ্রামের ছহির উদ্দীনের ছেলে আসলাম প্রামানিকের প্রায় ২০ বছর পূর্বে বিয়ে হয়।

বিয়ের পর স্বামীর দাবীর প্রেক্ষিতে স্ত্রী ফজিলাতুন নেছার পৈত্রিক ১০ কাটা সম্পত্তি বিক্রি করে টাকাসহ বিভিন্ন ভাবে আরও ৫০ হাজার টাকা স্বামীকে প্রদান করে। এতেও স্বামী আসলামের মন ভরাতে পারেনি নিঃসন্তান স্ত্রী ফজিলাতুন নেছা।

এদিকে আবুল হোসেন কাতার দেশ থেকে ১ বছর আগে দেশে আসার পর প্রথম স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে দ্বিতীয় বিয়ে করে।

স্ত্রী ফজিলাতুন নেছা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, দেশে আসার পর তার উপড় শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন বেড়ে যায়।

গত রোববার (১৯ জানুয়ারী) সকালে পারিবারিক কলহের জেরধরে স্বামী আসলাম পুনরায় লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট ও শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে। স্বামীর মারপিটে ফজিলাতুন নেছার বাম হাত ভেঙ্গে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখম হয়। ওইদিন স্ত্রী ফজিলাতুন নেছাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভেঙ্গে যাওয়া হাত ব্যান্ডেজ শেষে বাড়ীতে নিয়ে আসে।

পরদিন গতকাল সোমবার (২০ জানুয়ারী) সকালে স্ত্রী ফজিলাতুন নেছাকে আহত অবস্থায় পিত্রালয় চাটখইর গ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ওইদিন বিকেলে পরিবারের লোকজন গুরুতর অবস্থায় ফজিলাতুন নেছাকে আদমদীঘি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

স্বামী আসলামের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানায়, স্ত্রী ফজিলাতুন নেছাকে সামান্য মারপিট করেছি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.