আবার কনটেইনমেন্ট জোন

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: দেশের সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগ জনক। গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পনেরো হাজার, মৃত্যু প্রায় পাঁচ শতাধিক।
রাজ্যের পরিস্থিতিও চিন্তা জনক। গত চব্বিশ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পনেরো শত। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে চিকিৎসকদের মত।
নবান্নে এক জরুরী বৈঠকে মুখ্যসচিব শ্রী হরিকৃষ্ঞ দ্বিবেদী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এক নির্দেশ মারফত বলেন,খুব কঠোর ভাবে বিধিনিষেধ মানতে হবে। প্রয়োজনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন। রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ ও বিষয়ে কঠোর মনোভাব গ্রহণের পরামর্শ দেন।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশকিছু জায়গায় কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। উত্তর পাড়ার বেশ কিছু জায়গা,উত্তর কলকাতার বরাহনগর থেকে শুর করে মানিকতলা, শ্যামবাজারের কিছু জায়গা ও অন্যান্য। হুগলি ও হাওড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলেও কন্টাইন্টমেণ্ট জোন ও জোর কদমে মাইকিং চলছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে।
খাস কলকাতার ৪টি বরো এলাকায় ৬০শতাংশ মানুষ আক্রান্ত। ১০,১১,১২,ও ১৬নম্বর ওয়ার্ডে দাপট বেশী।
রুবি, কসবা, মুকুন্দপুর, গড়িয়া, পাটুলি, সন্তোষপুর, গল্ফগ্রীণ, বিজয়গড়, আজাদগড়, ব্রহ্মপুর, কুঁদঘাট, বেহালা ঠাকুরপুকুর ও জোকা এলাকাগুলি বিশেষ ভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আজ প্রশাসনের তরফে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। কিভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করে কন্টাইন্টমেণ্ট জোন গড়া হবে সবিশদে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। আসন্ন কালীপুজো ও অন্যান্য উৎসবের মাঝে খুবই চিন্তিত প্রশাসন।
বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক বৃন্দ আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল উৎসব মরসুমে করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে। পুজোর ভীড় ও জমায়েত তাতে বিশেষ ইন্ধন জুগিয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে প্রশাসনের।
দশ নম্বর বরোর কো-অর্ডিনেটর শ্রী তপন দাশগুপ্ত মহাশয় বলেন,সব থেকে বেশী ওয়ার্ড এই বরোতে থাকার জন্য স্থানীয়দের জাতায়াত বেশী। কে কি ভাবে স্প্রেডার হয়ে ঢুকছে নিরূপণ করা কঠিন। এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে বলে জানান। এতো মানুষের জাতায়াতের জন্য  আক্রান্তের সংখ্যাও বেশী।
আবার ১২নম্বর ও১০৯নম্বর ওয়ার্ডে একাধিক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল থাকার জন্য বহু মানুষ আসেন চিকিৎসার জন্য। তাদের থেকেও অনেক সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানান স্থানীয় কো-অর্ডিনেটর শ্রী সুশান্ত ঘোষ। এই এলাকাগুলোতে প্রথম থেকেই রোগের প্রকোপ বেশী। তবে আগের মত অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি না হলেও বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে বলে জানান।
লোকাল ট্রেন সেভাবে না চল্লেও স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার লাগোয়া এলাকাগুলো থেকে প্রচুর শ্রমিক মজুর ও পরিচারিকেরা আসেন শহরে কাজ করতে। সেখান থেকেও যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকছে সুপার স্প্রেডার হিসেবে রোগ ছড়ানোর।
পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতায় চলছে মাইকিং। জনসাধারণকে অনুরোধ করা হচ্ছে অযথা জটলা বা ভীড় না করে। যতদূর সম্ভব বাড়ী থেকে কম বেড়োন। খুব প্রয়োজন না পড়লে বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হচ্ছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.