আবারও দূষণের কবলে পেরুর সৈকত

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আবারও দূষণের কবলে পেরুর সমুদ্র সৈকত। স্প্যানিশ কোম্পানি রিপোসালের পাইপলাইনের লিকেজের কারণে পেরুর সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসছে জ্বালানি তেল। এতে হুমকির মুখে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য।
এর আগে টোঙ্গায় সুনামির পর জ্বালানি তেলে ছেয়ে যায় পেরুর সমুদ্র সৈকত। এর রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন করে অপরিশোধিত তেল ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষুব্ধ পরিবেশবিদরা।
গত সপ্তাহ ধরে ভয়াবহ দুষণের কবলে পেরুর সমুদ্র সৈকত। প্রতিদিনই সৈকতে ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে আসছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল। স্পেনভিত্তিক তেল কোম্পানি রিপোজালের তেলের পাইপলাইনে লিকেজের কারণে এ অবস্থা।
গত ১৫ জানুয়ারি পাইপলাইন লিকেজের ঘটনায় ৬ হাজারের বেশি ব্যারেল তেল সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়ে। দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও দূষণ বন্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ দেশটির পরিবেশকর্মীরা।
গতকাল বুধবার (২৬ জানুয়ারি) লিমায় স্পেন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা।
এক পরিবেশকর্মী বলেন, এই অবস্থার দায় স্পেন কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। পেরু সরকারের ওই কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত। বিদেশি বিনিয়োগের কারণে নিজেদের পরিবেশ নষ্ট করতে পারি না আমরা।
শুধু এবারই না সারা বছরই তারা পরিবেশ দূষণ করে চলেছে। এর দায় কোনোভাবেই রিপোসাল এড়াতে পারে না। আমাজনেও তারা পরিবেশ নষ্ট করেছে। এখন পরুতে এসেছে।
পাইপলাইন লিকেজের কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পেরু। পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে অর্থ সহায়তা। আর পরিস্থিতি পর্যবক্ষণে লিমায় পৌছেয়ে জাতিসংঘের একটি তদন্ত দল।
তবে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সমুদ্র থেকে সব তেল পরিস্কারের কথা জানিয়েছে রিপোসাল। কোম্পানিটির দাবি, টোঙ্গায় সমুদ্রের নিচে আগ্নেয়িগির বিস্ফোরণের পর সুনামির কারণেই পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই পরিস্থিতি। তবে পেরুর দাবি,দ্বিতীয়বার লিকেজের কারণেই এ অবস্থা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.