খুলনা ব্যুরো:খুলনা-যশোর রেললাইনের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আফিল গেট রেলক্রসিংয়ে ট্রেন ও ট্রাকের ভয়াবহ সংঘর্ষে একজন নিহত ও বহু যাত্রী আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে।এ ঘটনায় খুলনা-যশোর রেলপথে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে গেটম্যানের দায়িত্বে অবহেলা ও ঘটনাস্থল থেকে তাঁর পলায়নকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার (১৪ জুলাই) রাত ৮টার দিকে। যশোর থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আফিল গেট রেলক্রসিং অতিক্রমকালে রেললাইন অতিক্রম করতে যাওয়া একটি পাথরবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ট্রাকটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ট্রেনের তিনটি বগি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বিটিসি নিউজকে জানান, দুর্ঘটনার সময় রেলক্রসিংয়ের গেট খোলা ছিল এবং গেটম্যান দায়িত্বে ছিলেন না। ফলে ট্রাকটি সরাসরি রেললাইনে উঠে গেলে চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষের পরপরই ট্রেনচালক ও ট্রাকচালককে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বিটিসি নিউজকেজানান, “দুর্ঘটনার পর মুহূর্তেই ট্রেন থেমে যায়। বগিগুলো কাত হয়ে পড়ে। আমরা স্থানীয়রা প্রথমে এগিয়ে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করি। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।”
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আহতদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের নির্ভরযোগ্য সংখ্যা জানানো হয়নি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, “আফিল গেট রেলক্রসিং একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। এখানে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন ও মানুষ চলাচল করে। অথচ বারবার জানানো সত্ত্বেও গেটম্যানের দায়িত্বহীনতা বন্ধ হয়নি। এবার তার অবহেলার জন্য একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল।”
রেলওয়ের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হবে এবং গেটম্যানকে খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে এবং রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান মাশরুর মুর্শেদ। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.