আফগানিস্তানে শক্তিশালী যত ভূমিকম্প

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তান বারবার কেঁপে উঠছে ভয়াবহ ভূমিকম্পে। ২০০২ সাল থেকে এ পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হিন্দুকুশ থেকে খোস্ত, হেরাত থেকে নানগারহার; ঘরবাড়ি হারিয়ে গৃহহীন হয়েছেন লাখো মানুষ।
২০০২ সালের মার্চ মাসে হিন্দুকুশে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত দুই হাজার মানুষ প্রাণ হারান। আহত হন কমপক্ষে তিন হাজার। ভূমিকম্পে মুহূর্তেই ধসে পড়ে হাজারো ঘরবাড়ি। অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষতি হয়।
২০১৫ সালের অক্টোবরেও হিন্দুকুশ কেঁপে ওঠে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে। ৩৯৯ জনের প্রাণহানি ঘটে, আহত হন আড়াই হাজারের বেশি মানুষ।
পাহাড়ি এলাকায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এলাকা থেকে মানুষদের উদ্ধার করতে সময় লাগে। অনেক গ্রাম সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়।
২০২২ সালের জুন মাসে খোস্তে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রাণ হারান ১,১৬৩ জন। আহত হন প্রায় তিন হাজার। প্রদেশের বহু গ্রাম ধ্বংস হয়ে যায়। ত্রাণ পৌঁছাতে বিলম্ব ঘটায় চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েন বাসিন্দারা। স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি তখন সাহায্যের হাত বাড়ায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাহায্যকারী সংস্থা।
২০২৩ সালের অক্টোবর, হেরাতে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ১,৪৮০ জনের মৃত্যু এবং ২,৪০০ জন আহত হন। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় শত শত বাড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করে আফগান সরকার।
এদিকে, রোববার (৩১ আগস্ট) রাতে আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কুনার প্রদেশে ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা এরইমধ্যে ৮০০ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৫০০ মানুষ। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আফগান সরকারের মুখপাত্র মৌলভি জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০০ হয়েছে। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, উদ্ধারকাজ চলছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্যানুযায়ী, স্থানীয় সময় রোববার (৩১ আগস্ট) রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল জালালাবাদ থেকে ২৭ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ভূপৃষ্ঠের ৮ কিলোমিটার গভীরে।
এরপর থেকে অন্তত আরও তিনটি কম্পন হয়েছে। সেগুলোর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫ থেকে ৫ দশমিক ২-এর মধ্যে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.