ব্যাট হাতে নায়ক সুরিয়াকুমার। চার নম্বরে নেমে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ২৮ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ব্যাটসম্যান। ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠে তার হাতেই।
বোলিংয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন জাসপ্রিত বুমরাহ। ৪ ওভারে একটি মেডেনে স্রেফ ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ৩০ বছর বয়সী পেসার।
কেনসিংটন ওভালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে রানের জন্য সংগ্রাম করতে দেখা যায় ভারত অধিনায়ক রোহিতকে। ১৩ বলে ৮ রান করে বিদায় নেন তিনি ফাজালহাক ফারুকির বলে মিড-অনে ক্যাচ দিয়ে।
তিনে নেমে প্রথম বলে চার মেরে শুরু করা রিশাভ পান্ত ষষ্ঠ ওভারে টানা তিনটি বাউন্ডারির দেখা পান মোহাম্মদ নাবির বলে। পরের ওভারেই এই কিপার-ব্যাটসম্যান (১১ বলে ২০) এলবিডব্লিউ হন লেগ স্পিনার রাশিদ খানের বলে।
ইনিংস শুরু করতে নামা ভিরাট কোহলি থিতু হয়েও টেনে নিতে পারেননি ইনিংস (২৪ বলে ২৪)। তাকেও ফিরিয়ে দেন রাশিদ।
প্রথম ১০ ওভারে ভারতে রান ছিল ৩ উইকেটে ৭৯। পরের ওভারে শিভাম দুবে বিদায় নেন ১০ রান করে।
রান বাড়ানোর কাজটা করেন মূলত সুরিয়াকুমার। দারুণ সব সুইপ শটে বাউন্ডারি মারেন তিনি। পঞ্চম উইকেটে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে গড়েন ৩৭ বলে ৬০ রানের জুটি।
ষোড়শ ওভারে ফারুকিকে পরপর ছক্কা ও চারে ২৭ বলে ফিফটি পূরণের পরের বলে বিদায় নেন সুরিয়াকুমার। পান্ডিয়া ২৪ বলে করেন ৩২ রান।
শেষ ১০ ওভারে ভারত তোলে ১০২ রান।
সমান ৩টি করে উইকেট নেন ফারুকি ও রাশিদ। আসরে ফারুকির মোট উইকেট হলো ১৫টি।
লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারে আর্শদিপ সিংকে রাহমানউল্লাহ গুরবাজের চার ও ছক্কায় আসে ১৩ রান। এরপর নিয়মিতই উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে এসে দ্বিতীয় বলেই গুরবাজকে ফিরিয়ে দেন বুমরাহ। একবার জীবন পেয়েও টিকতে পারেননি ইব্রাহিম জাদরান। হাযরাতউল্লাহ জাজাইও ফেরেন দ্রুতই।
২৩ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর ৪৪ রানের একটা জুটি গড়েন গুলবাদিন নাইব ও আজমাতউল্লাহ ওমারজাই। তবে ৫ বলের মধ্যে বিদায় নেন দুজনই।
ওমারজাইয়ের ২৬ রান শেষ পর্যন্ত হয়ে থাকে ইনিংসের সর্বোচ। ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলে পরাজয়ের ব্যবধানই কেবল কমাতে পারে আফগানিস্তান।
বুমরাহর মতো ৩ শিকার ধরেন আর্শদিপও। তবে ৪ ওভারে এই পেসার দেন ৩৬ রান।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.