সুনামগঞ্জপ্রতিনিধি: আপন ফুফাতো বোনকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আপন মামাতো ভাইকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গত ১৯ জুলাই রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উওর বড়দল ইউনিয়নের পুরানঘাট গ্রামে।
গ্রেপ্তারকৃত যুবকের নাম শাহীন মিয়া (১৯)। সে উপজেলার উওর বড়দল ইউনিয়নের পুরানঘাট গ্রামের চাঁন মিয়া ওরফে চান্দু মিয়ার ছেলে। শাহীন উপজেলার জয়নাল আবেদীন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
ফুফাতো বোনকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) রাতে তাহিরপুর থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ রাতেই শাহীন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
পরে আজ শুক্রবার (২৩ জুলাই) দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার পুরানঘাট গ্রামের চান্দু মিয়ার ছেলে শাহীন মিয়া ঈদের দুইদিন আগে ১৯ জুলাই সোমবার একই গ্রামের বিধবা ফুফুর বাড়ি বেড়াতে যায়। তার ফুফু বাড়িতে না থাকার সুযোগে রাতে কিশোর বয়সী তার ফুফাত বোনকে (১৫) ঘরের ভেতর আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে মামাতো ভাই শাহীন। কিন্তু কিশোরীর ছোট ভাইয়ের উপস্থিতি টের পেয়ে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে জুতা ও কাপড় ফেলে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় শাহীন মিয়া।
এরপর শাহীনের পরিবার কিশোরীর বিধবা মাকে ও তার পরিবারকে থানায় মামলা না করতে ভয়-ভীতি দেখায়। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় ও পুলিশ সুপারকে অবগত করার পর অভিযুক্ত শাহীনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে কিশোরীর মা ভাইপো শাহীনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন এবং পুলিশ শাহীনকে গ্রেপ্তার করে।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ তরফদার বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘ফুফাতো বোন ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে শাহীনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত শাহীনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।’
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.