নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৯৭১ সালে কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তাঁর ঘোষনার মধ্যে দিয়েই স্বাধীনতার সুর্য্য উদয় করতে এদেশের জনগণ যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। সে সময়ে যারা দেশ স্বাধীনের জন্য যুদ্ধ ও যুদ্ধে সহযোগিতা করেছিলেন তারা হচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ এখনো বেঁচে আছেন। নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছে এদেশের যুব সমাজ। কারণ তারা ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিতারিত করতে দীর্ঘ সতের বছর আন্দোলন করেছে।
যার শেষ হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে। ছাত্র-জনতার একদফা আন্দোলনে ভীত হয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে চলে গেছেন। এর ফলে দেশ আবারও এক প্রকার দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। এই স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে প্রায় দুই হাজার ছাত্র-জনতাকে প্রাণ দিতে হয়েছে। বিশ হাজার জন আহত হয়েছেন। অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। শুধু এটাই নয় খুনি হাসিনা বিগত সতের বছরে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিশ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা, সতেরশ নেতাকর্মীকে গুম, ষাট লক্ষ নেতাকর্মীর নামে পাঁচ লক্ষ মামলা দিয়েছে।
এজন্য এ প্রজন্মেও মুক্তিযোদ্ধা বললে কোন ভুল হবেনা বলে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনসচেতনতামূলক প্রচারনায় আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজেন মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং পবা-মোহনপুর আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন নিয়ে মোনাফেক একটি দল ষড়যন্ত্র করছে। তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের দাবী তুলে দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। একবার বলছে পিআর, একবার বলছে হা না ভোট, আবার বলছে গণভোট দিতে হবে। বাংলাদেশ কিভাবে আগামীতে পরিচালিত হবে তা তারেক রহমান ঘোষিত ৩১দফায় সম্পূর্নরুপে তুলে ধরা আছে। কোন রাষ্ট্র মেরামত হবে যে রাষ্ট্র অকেজো হয়েছে গেছে, ধ্বংস এবং নষ্ট হয়ে গেছে। তারেক রহমান ২০২৩ সালে এই ৩১ দফা দিয়েছেন। ২০২৪ সালের পরে বিএনপি প্রস্তুতি গ্রহন করছে না।
তিনি বলেন, বিএনপি ২০১৬ সাল থেকে ভিশন ২০৩০ দেয়া শুরু করেছেন। আর ২০২৩ সালে ৩১দফা বাস্তবায়নের জন্য বিএনপি কাজ করছে।
তিনি বলেন, ধানের শীষ হচ্ছে ঐক্যের প্রতিক। এদেশের আশা আকাংখার প্রতিফলন হচ্ছে ধানের শীষ। স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতিক হচ্ছে ধানের শীষ। ধানের হচ্ছে জনগণের প্রতিক। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ দেশবাসীর প্রতিক বলে বলে উল্লেখ করে তিনি এটাকে পরিচর্যা করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এটা কারো ব্যক্তিগত প্রতিক নয়। এটা বিএনপি তথা জনগণের প্রতিক বলে জানান।
তিনি বলেন, একটি দল বেহেস্তের টিকিট করছে। তারা বাড়ি বাড়ি যেয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। মোনাফেক ঐ দলের প্ররোচনায় বিভ্রান্ত না হয়ে ধানের শীষে ভোট প্রদান করার আহ্বান জানান তিনি।
বক্তব্য শেষে হরিপুর বাজার শেষে প্রচারণামূলক মিছির বের কার হয। মিছিলটি অত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুণরায় হরিপুর বাজারে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল ও সভায় অত্র ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এডভোকেট শফিকুল হক মিলন সকাল সাড়ে ১০টায় নওহাটা পৌর সভার তেঘর দাখিল মাদ্রাসা যুবদলের আয়োজনে মেডিকেল ক্যাম্পেইন এর উদ্বোধন করেন। #

















