আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ১২টি ক্যাটাগরিতে ২১ বিশিষ্টজনকে দেয়া হলো একুশে পদক
ঢাকা প্রতিনিধি: আজ বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একুশের চেতনা ধারণ করে দেশ গড়ার কাজে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলা ভাষার পাশাপাশি অন্যান্য মাতৃভাষা সমুন্নত ও সংরক্ষণেও আন্তরিক সরকার।
ভাষা শহীদদের স্মরণ ও একুশের চেতনাকে চিরভাস্বর করে রাখতে ১৯৭৬ সাল থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দেয়া হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সামনে রেখে এবারো ১২টি ক্যাটাগরিতে ২ জন মরণোত্তরসহ ২১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে দেয়া হলো এ সম্মাননা। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মনোনীত ব্যক্তিদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে পদকপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। স্মরণ করেন ভাষার জন্য জাতির সূর্য সন্তানদের মহান আত্মত্যাগ।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পরই রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পায় বাংলা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের যা কিছু অর্জন, তা সব সময় আওয়ামী লীগই এনে দিয়েছে। মাতৃভাষা রক্ষা করা, চর্চা করা, এই ভাষায় গবেষণা করার জন্য আমরাই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল কফি আনান আমার আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছিলেন, আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি।
সম্মাননা পাওয়া ব্যক্তিরা জানান, এই পদক তাদের দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
সংগীত শিল্পী সুবীর নন্দী বলেন, এটা আমার সংগীত জীবনের একটি পরম পাওয়া।
সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ৪৫ বছর পরে রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় স্বীকৃতিটা আমি পেলাম। এরচেয়ে বড় সম্মান একজন লেখকের জীবনে আর হতে পারে না।#
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.