ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠিতে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামীর সঙ্গে ভিকটিম তরুণীর বিয়ের শর্তে ধর্ষকের জামিন মঞ্জুর করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শহিদুল্লাহ
আজ রবিবার (১৭ জানুয়ারী) জামিন শুনানীর নির্ধারিত দিনে আদালতে বাদী এবং আসামী উপস্থিত হলে জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহ বরপক্ষের অনুরোধে উভয়পক্ষকে বিয়ের শর্তে স্থায়ী জামিনের প্রস্তাব দেন।
প্রস্তাবে উভয়পক্ষ রাজি হলে জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহ’র নির্দেশে আজ রবিবার (১৭ জানুয়ারী) দুপুরে দুই পক্ষের উপস্থিতে বিয়ে পড়ান কাজী মাওলানা মো. সৈয়দ বশির।
পাবলিক প্রসিকিউট (পিপি) এবং বাদীপক্ষের মামলা পরিচালনাকারী অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান রসুল ও আসামী পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিয়ের বর হলেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার বৈদারাপুর গ্রামের মহিদুল ইসলাম আর কনে হলেন চরভাটারাকান্দা গ্রামের আয়শা আক্তার। বিয়ের পর আসামী বর মহিদুলের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক মো. শহিদুল্লাহ।
পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল মান্নান রসুল বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, তিন বছর পূর্বে ঝালকাঠি সদর উপজেলার চরভাটারাকান্দা গ্রামের গ্রামের আয়শা আক্তারকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে ভিকটিমের মা লাকি বেগম বাদী হয়ে একটি নালিশী মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামি পলাতক ছিলো
আজ রবিবার (১৭ জানুয়ারী) জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামীর জামিন শুনানীর সময় আসামিপক্ষ ভিকটিমকে বিবাহের আগ্রহ প্রকাশ করলে এবং নির্যাতিত পক্ষও প্রস্তাবে রাজি হলে বিচারক মো. শহিদুল্লাহ আদালতের মধ্যেই ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিবাহের নির্দেশ দেন।
আদালত চত্বরে আসামী, ভিকটিম ও উভয়পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আদালতে কাগজপত্র জমা দিলে শুনানি শেষে আসামীর জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.