নাটোর প্রতিনিধি: বড়াইগ্রামের চামটা গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তিনটি বসত বাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও গাছপালা কেটে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে গত ২০ দিন যাবৎ মানবেতর জীবন যাপন করছেন ওই সব পরিবারের সদস্যরা।
জানা যায়, উপজেলার চামটা মৌজার ৪৭৩ হালদাগের ১০ কাঠা জমির মালিক মোক্তার হোসেন। এ জমিতে তার দুই বড় ভাই ও এক ভাতিজি জামাই ঘরবাড়ি করে প্রায় ২৫ বছর যাবৎ বসবাস করে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতি প্রতিবেশী মো: জনাব আলী ওই জমি তার বলে দাবি করে দখল নেয়ার চেষ্টা করেন।
এ নিয়ে মামলা উভয় পক্ষই আদালত ওই জমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারীকরে। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জনাব আলী লোকজনসহ গত ১৩ অক্টোবর দুটি বাড়ি ভাংচুর ও আরেকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।
এছাড়া প্রায় দেড় লাখ টাকা দামের আম, মেহগণি ও লিচুসহ ৩৮টি গাছ কেটে পুরো ভিটায় কলাগাছ লাগিয়েছেন তারা। এ সময় বাধা দিতে গেলেতারা মোক্তার হোসেনকে পিটিয়ে জখম করেন। ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দেয়ায় মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে বর্তমানে তিনটি পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
সোমবার বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আজিজুল হকের বসতঘরের টিনের বেড়া ও দরজা-জানালা ভাঙ্গা, ঘরে কোন আসবাব পত্র নেই।রান্নাঘর আর খড়ির ঘরের কোন অস্তিত্ত্বই নেই। পাশেই তার ছোট ভাই তাইজুল ইসলামের দুটি ঘর আগুনে পুড়ে গেছে। বর্তমানে স্ত্রী সন্তানসহ আত্নীয়-স্বজনের বাড়িতে দিন কাটাচ্ছেন তিনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জনাব আলী বলেন, আমি জমিটি মোক্তার হোসেনের কাছ থেকে কিনে নিয়েছি। কিন্তু তারা জমির দখল ছাড়ছে না। ওরা বাড়াবাড়ি করছে, তাই একটু শিক্ষা দিয়েছি।
মালিক মোক্তার হোসেন বলেন, আমি জমি বিক্রি করিনি। তারা অন্য কাউকে মোক্তার হোসেন সাজিয়ে জমিটি জাল দলিল করেছে। এ ব্যাপারে আদালতে সিদ্ধান্ত হবে জমিটি কার। কিন্তু তারা আগেই বাড়ি ঘর ভেঙ্গে ভিটা দখলের অপচেষ্টা করছে।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক বিটিসি নিউজকে জানান, জমির বিষয়টি আদালত দেখবে, তবে মারপিটের বিষয়ে মামলা হয়েছে। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায়প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.