আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে মোরেলগঞ্জে প্রতিবন্ধী পরিবারকে হয়রানি করে জমি দখলের চেষ্টা

মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক প্রতিবন্ধী পরিবারকে হয়রানি করে জমি দখলের চেষ্টার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের জিউধরা গ্রামে শারীরিক প্রতিবন্ধী এমাদুল গাজী (৪৮), ২০১০ সালে ৪০ শতক জমি ক্রয় করে বসতবাড়ি করে প্রায় এক যুগ ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে ভোগ দখল করে আসছে।
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী এসিন খান তার লোকজন নিয়ে প্রতিবন্ধীর বসতবাড়িতে জোরপূর্বক একটি অংশে দখলের জন্য চেষ্টা চালায়।
এ ঘটনায় প্রতিবন্ধী এমাদুল গাজী বাদি হয়ে এসিন খানকে বিবাদী করে বাগেরহাট বিজ্ঞ অতিঃ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন। যার মিস কেস নং-৯৬৯/২০২২(মোরেলগঞ্জ)। বিজ্ঞ আদালত বিবাধমান জমিতে আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রনে উভয় পক্ষকে স্থীতিশীল বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দেন।
আদালতের এ নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রভাবশালী এসিন থান উক্ত জমিতে মঙ্গলবার জোরপূর্বক বাস-খুটা দিয়ে গোল পাতার ছাউনি একটি ঘর তোলে।
পরবর্তীতে প্রতিবন্ধী এমাদুল গাজী থানা পুলিশকে অবহিত করলে প্রভাবশালীরা ঘরটি ভেঙ্গে নিয়ে উল্টো এসিন খান প্রতিবন্দীকে প্রধান আসামি করে ওই পরিবারের ৬ জনের বিরুদ্ধে বাগেরহাট বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করে।
অসহায় প্রতিবন্ধী এমাদুল গাজী ও তার স্ত্রী সুমি বেগম বলেন, সরকারিভাবে প্রতিবন্ধী ভাতা ও কোনমতে একটু কৃষি কাজ করে ৩ ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হয়। তার মধ্যেও মাথাগোজার এইটুকু সম্ভল প্রভাবশালীদের লোলুপ দৃষ্টিতে বৃদ্ধ পিতা আমির আলী গাজী (৭৫) কে মামলা থেকে রেহাই দেয়নি। ১০ বছর ধরে বাড়িতে আসেনা ছোট ভাই রুবেল গাজী গার্মেন্সকর্মী তাকেও মামলায় জড়িয়েছে। তারা প্রধানমন্ত্রীসহ উর্দ্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ বিষয়ে এসিন খান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, তার দাদার সম্পত্তি সূত্র ধরে ওই বাড়িতে ১৫ শতক জমির মালিক তারা। তিনি কাউকে হয়রানি করছেন না।
এ সর্ম্পকে নালিশী জমিতে ১৪৪ ধারা জারিকৃত এএসআই বিপ্লব হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক উক্ত জমির উভয় পক্ষকে নোটিশ জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি গনেশ পাল ও এম.পলাশ শরীফ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.