আদমদীঘির শালগ্রাম ইবতেদায়ী মাদরাসা জরাজীর্ণ মাটির ঘরে ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষাদান

 

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘির শালগ্রাম স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা মাটির ও টিনের ছাউনির দ্বারা নির্মিত ভবনটির দেয়াল, দরজা, জানালা নষ্টসহ বিভিন্ন অংশ হেলে জরাজীর্ণ অবস্থায় মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চালানো হচ্ছে শিক্ষাদান। এলাকাবাসি বার বার নতুন ভবন নির্মানের দাবী জানালেও কোন উদ্যোগ গ্রহন করা হচ্ছেনা। যে কোন মূহুর্তে ভবনটি ধসে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা রয়েছে। এদিকে প্রায় ২৭ বছর যাবত শিক্ষক শিক্ষিকাগন বেতন না পাওয়ায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এলাকার সুপ্রতিষ্ঠিত পুরাতন এই মাদরাসাটিকে এমপিওভুক্ত করা প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।

আদমদীঘি সদর হতে মাত্র চার কিলোমিটার উত্তরে মনোরম পরিবেশে শালগ্রাম স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাটি স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের সার্বিক সহযোগীতায় ১৯৯১ সালে ৩৩ শতক জমি দান করে মাটির দেয়ালে টিনের ছাউনি দিয়ে মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। হাটিহাটি পাপা করে শিক্ষারমান উন্নয়নসহ প্রতিষ্ঠানটি যথেষ্ঠ সুনাম কুড়িয়েছে এলাকায়। মাটির দেয়ালে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট টিনের ছাউনির এই বিদ্যালয়ে ৪ শিক্ষক ও শতাধিক ছাত্রছাত্রী রয়েছে। এই মাদরাসায় ইসলাম শিক্ষার পাশাপশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচী অনুযায়ী পাঠদান করা হয়ে থাকে। ১৯৯৫ সাল থেকে সরকারি ভাবে ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসা হয়। বর্তমান সরকার রেজিষ্ট্রার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করন করলেও অবহেলিত রয়েছে এই শালগ্রাম রেজিষ্টারড স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাটি। এই মাদরাসা থেকে প্রতি বছরই প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীরা ভাল ফলাফল করে আসছে।

এখানকার অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা শ্রমিক ও দিন মজুর গরীব ঘরের সন্তান। রেজিষ্টার স্বতন্ত্র মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যবধি শিক্ষকরা বিনা বেতনে পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছেন। ফলে অর্থের অভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবন যাবন করছে। এদিকে মাদরাসার বাঁশ ও মাটির দেয়াল টিনের ছাউনি নষ্ট হয়ে বছরের পর বছর চললেও অর্থের অভাবে ভবনটি নির্মান কিংবা সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছেনা। প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম জানান সরকারী নির্দেশনামতে ২০১৭ সালে জুলাই মাসে বেতনভুক্তির জন্য সকল শিক্ষকদের ব্যানবেইজ পাঠানো হলেও অদ্যবদি বেতনভাতাদি ভাগ্যে মিলেনি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি মো:হাফিজার রহমান।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.