আদমদীঘির শখের পল্লীতে মৎস্য শিকার উৎসব

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘির বশিপুর ব্যক্তি উদ্দ্যেগে প্রায় ৪৫ বিঘা জমিতে গড়ে ওঠা বিশাল বিনোদন কেন্দ্র শখের পল্লীর ভিতরে পুকুরে গতকাল শুক্রবার মৎস্য শিকার উৎসবের আয়োজন করা হয়। ওই বিনোদন কেন্দ্রে দিনব্যাপি মৎস্য শিকারকে লক্ষ্য করে হাজারো দর্শনার্থী আর মৎস্য শিকারীদের মিলন মেলায় পরিনিত হয় পুকুরের চারপাশ।

সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। মৎস্য শিকারীদের ছিপে ধরা পড়েছে নানা প্রজাতির ছোট-বড় মাছ। বর্শিতে বেঁধে উঠে আসা এসব মাছের খেলা দেখে আনন্দিত হন মৎস্য শিকারীসহ দর্শনার্থীরা। মৎস্য শিকারীদের জন্য কর্তৃপক্ষের ঘোষনা মোতাবকে সিট প্রতি ১৬ হাজার টাকা দিয়ে আগাম টিকিট কিনেন মৎস্য শিকারীরা।

আগের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যারাত থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শখের পল্লীতে মাছ শিকারের জন্য আসনে তারা। বগুড়া থেকে আসা মৎস্য শিকারী খায়রুল আলম জানান, তার বর্শিতে প্রায় ৮ কেজি ওজনের একটি মাছ ধরা পড়েছে। এর চেয়ে কম ওজনরে মাছও ধরেছেন তিনি। পাশের সিটে বসা মৎস্য শিকারী রাসেল মাহমুদ জানান, তার বর্শিতে ৪ কেজি ওজনরে সিলভার কার্প মাছ ধরা পড়েছে। এছাড়া তিনি অন্য প্রজাতির ছোট মাছও ধরেছেন।

তবে মাছ না পেয়ে হতাশ হয়েছেন এমন মৎস্য শিকারির খোঁজ মিলেনি এ উৎসবে। আগত অনেক মৎস শিকারী বলছেন শীত মৌসুমের আবির্ভাবে আশানুরুপ মাছ শিকার করা সম্ভব হয়নি। শখের পল্লী বিনোদন কেন্দ্রের সত্বাধীকারি ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম জানান, প্রতিটি টিকিটের মূল্য নির্ধারন করা হয় ১৬ হাজার টাকা।

পুকুরের চারপাশে নির্ধারিত সিটের সংখ্যা ছিলো ২৪ টি। ভোর ৫টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দিনব্যাপী মাছ ধরার সময় নির্ধারন করা হয়। প্রতিজন মৎস্য শিকারী দুইটি করে ছিপ ব্যবহার করেন।মৎস্য শিকার উৎসব শেষে কতৃপক্ষ সাংবাদিকদের জানান মৎস্য শিকারীদের চিন্তা মাথায় রেখে প্রতি বছর সাশ্রয়ে এই উৎসবের আয়োজন করা হবে।#

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বগুড়া প্রতিনিধি মো: হাফিজুর রহমান ।   

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.