আদমদীঘির গৃহবধুর মৌলভি বাজারে রহস্যজনক মৃত্যু স্বামী গ্রেফতার


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘির গৃহবধু বন্দনা রানী পালের মৌলভি বাজারের ভবানীপুরে রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামী স্কুল শিক্ষক শিরীশ চন্দ্র পাল (৩৩)কে গ্রেফতার করেছে আদমদীঘি থানা পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারী) রাত ১২টায় লাশ উদ্ধার মর্গে ও শিরীশ চন্দ্র পালকে গ্রেফতার করে আজ শুক্রবার (২১ জানুয়ারী) দুপুরে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আদমদীঘি থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানাযায়, আদমদীঘির রামপুরা গ্রামের ক্ষুদিরাম পালের ছেলে স্কুল শিক্ষক শিরীশ চন্দ্র পালের সাথে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কল্যানী গ্রামের স্বপন পালের মেয়ে বন্দনা রানী পালের ১ বছর ৬ মাস পূর্বে বিয়ে হয়। শিরীশ চন্দ্র পাল মৌলভি বাজারের জুড়ি উপজেলার ছোট ধামাইল উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। স্বামীর চাকুরীর সুবাদে বন্দনা রানী মৌলভি বাজারের উত্তর ভবানীপুর স্বামীর সাথে থাকতেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারী) রাতে বন্দনা রানী মারা গেছে। এমন সংবাদ বন্দনা রানীর পরিবারকে ভোর ৫টায় ফোনে জানায় স্বামী শিরীশ পাল। এরপর জুড়ি থানাএলাকা থেকে লাশ নিয়ে রাতে আদমদীঘির রামপুরা গ্রামে আসে। এ মৃত্যের খবরে পরিবারের সন্ধেহ হয়। বন্দনা রানীর লাশ দেখার জন্য তার বাবা ভাইসহ পরিবারের লোকজন বারবার তাগিদ দিলেও দেখতে না দেয়ায় বন্দনা রানীর মৃত্যুটি রহস্যজনক বলে দাবী পরিবারের।
এ ব্যাপারে মৃত্যের ভাই তপন কুমার পাল রাতে আদমদীঘি থানায় লিখিত অভিযোগ করলে আদমদীঘি থানা পুলিশ রামপুরা গ্রাম থেকে লাশ উদ্ধার ও স্বামী শিরীশ চন্দ্র পালকে গ্রেফতার করে। মৃত বন্দনা রানীর ভাই তপন কুমার পালের দাবী তার বোনকে কৌশলে হত্যা করা হয়েছে।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দীন বিটিসি নিউজকে জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় বন্দনা রানীর লাশ উদ্ধার করে আজ শুক্রবার সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো এবং স্বামী শিরীশ চন্দ্র পালকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রির্পোট পাওয়া গেলে প্রকৃত মৃত্যুর কারন জানা যাবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.