আদমদীঘির এক গ্রামে ব্যতিক্রম নবান্ন উৎসব সকাল হতেই ৯২মণ গরু-মহিষের মাংস বিক্রি শেষ


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার শালগ্রাম নামে একটি গ্রামে ব্যতিক্রম নবান্ন উৎসব পালন করেছেন গ্রামবাসি। আজ মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) ওই গ্রামে বড় আকারের ৫টি মহিষ ও ২১টি গরু জবাই করে প্রায় ৯২ মণ মাংস সকাল ৮টার মধ্যেই বিক্রি শেষ হওয়ার এক চাঞ্চল্যকর খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া সকাল থেকেই গ্রামের রাস্তার ফাঁকা জায়গায় নবান্ন উৎসব মেলা বসেছে। অনেকেই মাংস না পেয়ে আদমদীঘি সদরে কসাই পট্রিতে ভীড় জমায়।
আদমদীঘি উপজেলার শালগ্রাম গ্রামে সরজমিনে দেখা গেছে, সেখানে নবান্ন উৎসবের ধুম পড়েছে। এ উপলক্ষে পাড়ায় পাড়ায় শিশু কিশোরদের খেলাধুলার আয়োজন ও রাতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অয়োজন করা হয়েছে।
আদমদীঘি উপজেলার মধ্যে একমাত্র শালগ্রামেই প্রতি বছরই পালন করে আসছে ব্যতিক্রম এই নবান্ন উৎসব। ওই গ্রামে রাস্তার দুই ধারে বিভিন্ন ফাঁকা জায়গা দখল করে চুড়ি ফিতা, মিষ্টি, খেলনার দোকানসহ মেলা বসেছে।
এই উৎসবে বড় আকারের ৫টি মহিষ ও ২১ টি গরু জবাই করে প্রায় ৯২ মণ মাংস গভীর রাত থেকে সকাল ৮টার মধ্যেই বিক্রি শেষ হয়ে যায়। শালগ্রামের ৮৭ বছর বয়সের বৃদ্ধ অছিম উদ্ধীন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গোলাম মোস্তফা, রইছ উদ্দিন, আলতাফ আলী খাঁসহ অনেকেই জানান, তাদের এই নবান্ন উৎসব প্রথা প্রায় দুই‘শ বছর আগে থেকেই চলে আসছে। ওই গ্রামের বয়োবৃদ্ধ শিশু নারীসহ প্রায় ৯ হাজার নারী পুরুষের বসবাস হলেও এই নবান্ন উৎসবে মেয়ে জামাইসহ দুর দুরান্ত থেকে হাজার হাজার আত্মীয় স্বজনদের সমাগম ঘটানো হয়।
এযেন একটি অন্যরকম নবান্ন উৎসব। এই নবান্ন উৎসবে জনপ্রতিনিধিদের আগমনে সমগ্র গ্রামবাসি যেন একত্রিত হয়ে ঈদের আমেজকেও হার মানায়। এছাড়াও উপজেলার অন্যান্য গ্রামে স্বপ্ল পরিসরে নবান্ন উৎসব পালন করা হয়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.