আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি:বগুড়ার আদমদীঘিতে শাশুড়ির সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে শাশুড়িকে (রান্না করার কাজে ব্যবহৃত) লোহার বেড়ী দিয়ে গলায় আঘাত করে হত্যা মামলার আসামী মেয়ের জামাই রাসেল (২৮)কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (১০ জুলাই) রাতে র্যাব-১২, র্যাব-১৩ সিপিসি-৩ ও পুলিশের যৌথ অভিযানে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার হাজীপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত রাসেল আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউপির মিতইল গ্রামের সেলিম উদ্দিনের ছেলে। সে একই গ্রামে তার নিহত শাশুড়ি জবেদার মেয়ে সালেহা বেগমকে বিয়ে করে ঘরজামাই হিসাবে থাকতো।
মামলা সুত্রে জানাযায়, আদমদীঘির মিতইল গ্রামের বিধবা জবেদার একমাত্র মেয়ে সালেহা বেগমকে প্রায় আড়াই বছর পূর্বে একই গ্রামের সেলিম হোসেনের ছেলে রাসেলের সাথে বিয়ে দিয়ে ঘর জামাই রাখে জবেদা বেওয়া। ঘর জামাই থাকা কালে মেয়ে জামাই রাসেল তার শাশুড়ির নামের পুকুর ও বাড়িসহ মোট ৬৭ শতক সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে তার স্ত্রী সালেহা ও শাশুড়ি জবেদাকে নানা ভাবে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল।
বুধবার (১০ জুলাই) সকালে জামাই রাসেল গাছ কাটার জন্য কামলা দিতে অন্য গ্রামে যায়। কাজ শেষে দুপুর ২টায় রাসেল বাড়ি ফিরে ভাত রান্না করতে দেরী হওয়ায় স্ত্রী সালেহাকে মারপিট শুরু করলে তার শাশুড়ি জবেদা এগিয়ে এলে জামাই রাসেল ক্ষিপ্ত হয়ে তার শাশুড়ি জবেদা বেওয়াকে রান্নার পাতিল নামানোর কাজে ব্যবহৃত লোহার ধারলো বেড়ী লগায় ঢুকিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আহত জবেদাকে হাসপাতালে নেয়া পথে বিকেল ৪টায় সে মারা যায়।
পুলিশ রাতে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় নিহত জবেদার ভাই আদমদীঘি উপজেলার ছাতুয়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে তবিবুর রহমান বাদি হয়ে আদমদীঘি থানায় জামাই রাসেলকে আসামী একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ঘটনার ৬ ঘন্টার ব্যবধানে এ মামলার আসামী রাসেলকে র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার হাজীপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.