আদমদীঘিতে র‌্যাবের অভিযানে ভুয়া ডাক্তার গ্রেফতার জেল জরিমানা


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: কোন ডিগ্রী ছাড়াই মেডিসিন চর্ম-যৌন নাক কান গলাসহ প্রভৃতি রোগের বিশেষজ্ঞ সার্জন পরিচয়ে ভুয়া ডাক্তার সেজে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০ বছর যাবত চিকিৎসা করে অবশেষে বগুড়ার আদমদীঘিতে এনএসআই-এর জালে ধরা পড়েছে আব্দুর রশিদ সরকার (৫১) নামের এই ভুয়া ডাক্তার।
আজ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১০ টায় র‌্যাব-১২ এর নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট রুপম দাসের নেতৃত্বে আদমদীঘি উপজেলা সদর বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিমে আল-সাফি ডায়াগননিষ্ঠ সেন্টারে অভিযান চালিয়ে এই ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেফতার করেন র‌্যাব-১২-এর সদস্যরা। ভুয়া ডাক্তার আব্দুর রশিদ সরকার কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার পীর কাসীমপুর (দক্ষিনপাড়া)র বাহার আলীর ছেলে।
এসময় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহি ম্যাজিষ্টেট রুপম দাস ওই ভুয়া ডিগ্রীধারি ডাক্তার আব্দুর রশিদকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড অনাদায়ে আরো দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।
ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানাযায়, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার পীর কাসীমপুর (দক্ষিনপাড়া)র আব্দুর রশিদ সরকার ২০০৫সাল থেকে দিশের টেকনাফ থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে নিজেকে এমবিবিএস পিজিটি,এফসিপিসি (এনইটি) মেডিসিন চর্ম-যৌন নাক কান গলা, হেড-নেক, পোষ্ট গ্র্যাজুয়েশন ট্রেনিং অন ইএনটি সার্জারী (বিএসএমএমইউ) এক্স-পিজি হাসপাতাল ঢাকাসহ বিভিন্ন রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভুয়া পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করে মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছিল। এমন গোপন সংবাদ বগুড়ার এনআইএস বিভাগের দৃষ্ঠি গোচর হয়। বেশ কিছুদির যাবত আব্দর রশিদ সরকার আদমদীঘি সদরে আল-সাফি ডায়াগননিষ্ঠ সেন্টারে রোগি দেখছে। বিষয়টি এএনআইএস বিভাগের তদন্তে প্রমাননিত হয়।
আজ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) তাদের সংবাদের ভিক্তিতে নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট রুমপ দাসের নেতৃত্বে র‌্যাব-১২-এর একটি অভিযানিক টিমের সহযোগীতায় আল-সাফি ডায়াগননিষ্ট সেন্টারে অভিযান চালিয়ে রোগি দেখার সময় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়। আব্দুর রশিদ সরকার জানায়, সে ২০০৫ সালে গ্রাম ডাক্তার হিসাবে রোগি দেখা শুরু করে এবং ২০১২ সাল থেকে ওইসব ভুয়া ডাক্তারী ডিগ্রী ধারন করে টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রুগি দেখতেন।
তিনি পেটের তাগিদে এই পথ বেছে নিয়েছেন বলে দাবী করেন। নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট রুপম দাস বলে, ভুয়া পরিচয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনা করার অপরাধে তাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষ আইন-২০০৯এর ৫১ ধারায় তার এক লাখ টাকা জরিমানা ও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড, অনাদায়ে আরো ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.