আদমদীঘিতে বিয়ে করার মাধ্যমে ধর্ষণ মামলার মিমাংসা

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বিধবা নারীর সাথে প্রেম সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষন ও বিয়ে প্রত্যাখ্যান সংক্রান্ত মামলা দায়েরের পর আদমদীঘির অন্তাহার গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে মুল আসামী হেলালুজ্জামান অবশেষে নির্যাতিতা ওই মামলার বাদি জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার মাতাপুর ব্যাপারি পাড়ার ইদ্রিছ আলীর মেয়ে কল্পনা পারভীন ওরফে রোকছানা (২৬) কে ৩ লাখ টাকা মোহরানা ধার্যে অবশেষে বিয়ে করিয়ে মিমাংসা করা হয়েছে। গত ৫মে রাতে বাদির বাড়ীতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে কাজি অফিসে বিয়ে রেজিষ্ট্রী সম্পন্ন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য: জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুরের পূর্ব মাতাপুরের বিধবা কল্পনা পারভীন ওরফে রোকছানা (২৬) নওগাঁ সদরে বাটা শোরুমে সেলস ম্যানের চাকুরী করা কালে আদমদীঘির অন্তাহার গ্রামের হেলালুজ্জামানের সাথে পরিচয় ও উভয়ের মধ্যে মোবাইল ফোনে প্রেম সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রায় দেড় মাস আগে থেকে হেলালুজ্জামান ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারীরিক মেলামেশা করে।

গত ১৮এপ্রিল ওই নারীকে বিয়ে করার জন্য মোবাইল ফোনে অন্তাহার গ্রামে আসতে বলে। বিকেলে নারীটি অন্তাহার গ্রামে হেলালুজ্জামানের বাড়ীতে আসার পর হেলালুজ্জামান তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সন্ধ্যায় ছাতিয়ানগ্রাম বাজারে বাদিনীকে টানা হেচড়া ও মারধর করে। এ ঘটনায় কল্পনা পারভীন নিজেই বাদি হয়ে গত ২০ এপ্রিল রাতে আদমদীঘির অন্তাহার গ্রামের কথিত প্রেমিক হেলালুজ্জামান (২৮), তার ভাই রকেট (৩২), রব্বানী (২৫), জুয়েল (২৮), শরিফুল (২৮), হেলাল (২৮) ও রবিউল ইসলাম (২৭) কে আসামী করে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। আদমীঘির ছাতিয়ানগ্রাম ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও বাদি কল্পনা পারভীন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তদন্তকারি উপ-পরিদর্শক ফজলুল হক জানান তিনি বিয়ে সম্পন্ন করার বিষয়টি শুনেছেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি মো: হাফিজার রহমান।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.