আদমদীঘিতে বিল নার্সারি পুকুর খনন ও উপকরণ প্রদানে নানা অনিয়মের অভিযোগ


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘির রক্তদহ বিল নার্সারি পুকুর খনন ও প্রাকৃতিক উপায়ে মৎস্য পোনা উৎপাদন প্রকল্পে উপকরণ প্রদানে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুজয় পালের বিরুদ্ধে। রক্তদহ বিলে নামেমাত্র ৪টি নার্সারি পুকুর খনন করায় অল্পদিনেই তা বিলীন হতে চলেছে এবং ওই পুকুরে ছাড়া রেনুপেনা বড় হওয়ার আগেই ভেসে গেছে বিলের পানিতে। ফলে বিল নার্সারি প্রকল্পটির শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে। এতে সরকারের কাংখিত লক্ষ্যমাত্র অর্জিত না হওয়ার আশংকার পাশাপশি গচ্চা যেতে বসেছে লাখ লাখ টাকা।
এ ব্যাপারে রক্তদহ বিল সমাজ ভিক্তিক মৎস্যচাষি সমবায় সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্টু ও সম্পাদক মন্টু রাজশাহি বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তর বরাবর একটি লিখিত অভিযােগ করেন।
সংস্লি ষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার রক্তদহ বিলে রাজশাহী বিভাগীয় মৎস্য সম্পদ উন্ন্য়ন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ প্রাকৃতিক উপায়ে মৎস্য পোনা উৎপাদন করার জন্য বিল নার্সারি পুকুর খননের প্রকল্প গ্রহন করেন। এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল উন্মুক্ত বিল জলাশয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে পোনা উৎপাদন ও বিলের পানিতে ছড়িয়ে দেয়া।
এই উদ্দেশ্যে আদমদীঘির উপজেলার রক্তদহ বিলের তলা বরাবর এক একর আয়তনে ৪টি নার্সারি পুকুর খনন করা হয়। প্রতিটি পুকুর খননের ব্যয় বরাদ্দ ৫লাখ ১৬হাজার টাকা। এদিকে ৪টি পুকুর খননে মোট ২০লাখ ৬৪হাজার টাকা ছাড়াও উপকরণ ক্রয় বাবদ আরও সাড়ে ৬লাখ টাকা বরাদ্দ পায় উপজেলা মৎস্য বিভাগ।
পুকুর খননে ৪টি শ্রমিক দল (এলসিএস দল) গঠন এবং দলপতি নিয়োগ হলেও‘ পুকুর খননে মাটি কাটা কোন শ্রমিক ব্যবহার করা হয়নি। পুকুর খনন করা হয়েছে এ্যাডভেষ্টর (ভেকু) মেশিনে।
পুকুর খননে ব্যবহার করা এ্যাডভেষ্টর (ভেকু) মেশিন মালিক আব্দুর রহিম সাংবাদিকদের জানায়, রক্তদহ বিলে পুকুর খনন কাজে তার খরচ হয়েছে ৭লাখ ৯২হাজার টাকা। কাজ চলার সময় এবং শেষে তাকে মাত্র সাড়ে ৪লাখ টাকা দিয়েছেন। অবশিষ্ট টাকা তিনি এখনও পাননি।
এদিকে উপকরণ খাতে বরাদ্দ সাড়ে ৬লাখ টাকার মধ্যে মাত্র ৭০ থেকে ৮০হাজার টাকার উপকরণ দিয়ে অবশিষ্ট টাকা মৎস্য কর্মকর্তা সুজয় পাল আত্মসাৎ করেছেন বলে রাজশাহী বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তর বরাবর একটি লিখিত অভিযােগ করেন বিলের সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষি সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্টু ও সম্পাদক মোঃ মন্টু। গত শুক্রবার আদমদীঘি কার্যালয়ে অভিযোগকারিদের ম্যানেজ করতে তাদের সাথে বৈঠক করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা।
উপজেলা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুজয় পাল এ প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজে কিংবা উপকরণ প্রদানে কোন অনিয়ম কিংবা দুর্নীতি হয়নি এমন দাবী করে বলেন, অভিযোগকারিদের সাথে ভুল বোঝাবুঝির কারনে করা অভিযোগ বিষয়ে তাদের ভুল ভাঙ্গানোর জন্য বৈঠক করা হয়েছিল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.