আদমদীঘিতে বিধবা ভাতা ফেরৎ দানকারি সেই লাজিনাকে সম্মাননায় ভুষিত করা হলো


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘিতে এক সময় আর্থিক অভাব আর অনাটনের কারনে বিধবা ভাতা গ্রহন করার পর সন্তান সরকারি চাকুরি পেয়ে সংসারে সচ্ছলতা ফিরে আসায় বিধবা ভাতা গ্রহনকারিনী লাজিনা বেওয়া তার বিধবা ভাতার বহি সমাজসেবা অফিসে ফেরৎ দিয়ে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, সেই মহৎ নারী লাজিনা বেওয়াকে উপজেলা সমাজসেবা অফিস সংবর্ধনা ও সম্মননায় ভুষিত করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহি অফিসারের অফিসে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে লাজিনা বেওয়াকে এই সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু। উপজেলা নির্বাহি অফিসার শ্রাবণী রায়ের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শরিফ উদ্দীন, উপজেলা প্রশাসনিক অফিসার সিরাজুল ইসলাম, আব্দুস সবুর প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আদমদীঘির ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের ধুলাতইর গ্রামের হাদিস আলী ১৯৮২ সালে তার স্ত্রী লাজিনা ও তিন সন্তান রেখে ইন্তেকাল করেন। তখন লাজিনার বয়স ছিল ২২ বছর। সংসারে ছিল অভাব আর অনাটন। এই অভাবের মধ্যেই সন্তানদের ভরনপোষন ও লেখাপড়া চালান বিধবা লাজিনা বেওয়া।
সেই সময় তিনি বিধবা ভাতার কার্ড নিয়েছিলেন। অভাবের সংসারে সন্তানদের বড় করে দুই মেয়েকে পাত্রস্থ করেন। আর একমাত্র ছেলে মামুনুর রশিদ লেখাপড়া করানোর পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকুরি পান। ছেলে চাকুরি পাবার পর থেকে লাজিনার সংসারে ফিরতে শুরু করে স্বচ্ছলতা।
সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে পাবার পর তার ছেলে মামুনুর রশিদের অনুপ্রেরনায় গত ৭ জুন উপজেলা সমাজসেবা অফিসে তার বিধবা ভাতার কার্ড ফিরিয়ে দিয়ে দেশবাসিকে তাক লাগিয়ে দেন লাজিনা বেওয়া।
মামুনুর রশিদ জানান, যখন তাদের সংসারে অভাব ছিল মা ভাতার কার্ড নিয়ে চালিয়েছেন। এখন মহান আল্লাহ আমাদের সংসারে অনেকটাই স্বচ্ছলতা ফিরে দিয়েছেন। তাই এই বিধবা ভাতার কার্ডটি ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। অপর অস্বচ্ছল মানুষ পেলে অনেকটাই তাদের সংসারে উপকার আসবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.