আদমদীঘিতে অভিযান চললেও থামানো যাচ্ছেনা নাগর নদে বালু দস্যুদের কারবার

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা ও নিয়মিত অভিযান চললেও কোনক্রমেই থামানো যাচ্ছেনা বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম ও চাঁপাপুর এলাকায় নাগর নদের তলদেশ থেকে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের কারবার। প্রশাসনের সাথে লুকোচুরি খেলে কোন্ খুঁটির জোরে চিহিৃত বালুদস্যুরা নাগর নদ খুঁরে মাটি ও বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে। নাগর নদের তলদেশ থেকে এভাবে গভীর করার ফলে এলাকার শতশত একর আবাদী জমি বসতবাড়ীসহ বাঁধ দেবে হুমকির মূখে পড়ছে।

আদমদীঘি উপজেলার একশ্রেনীর চিহিৃত বালুদস্যু কুন্দগ্রাম ও চাঁপাপুর এলাকা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া নাগর নদের তলদেশ থেকে হরিনমারা, বাগিচাপাড়া, ফুলবাগিচা, হারভাঙ্গা, কালিতলা, বসনতলি, অচিনতলা, ছোটঘন মনতলা, কাঞ্চাতরী ও জুগনিতলাসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নাগর নদের তলায় শ্রমিক লাগিয়ে পানি সেচ দিয়ে শুকিয়ে সেখান থেকে ভেকু ও শ্যালো মেশিন ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে অভিনব কায়দায় বাঁধ ঘেঁষে মাটি ও বালু উত্তোলন করে চলেছে। প্রশাসনের নিষেধাজ্হা সত্বেও মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলায় উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট সাদেকুর রহমান প্রায়ই ওইসব পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের বেশ কিছু সরঞ্জাম জব্দ ও পুড়য়ে দেয়া অব্যাহত রেখেছেন।

এরপরও কোনক্রমেই থামানো যাচ্ছেনা তাদের এই অবৈধ কারবার।

স্থানীয়রা বিটিসি নিউজকে জানান, উপজেলা সদর থেকে নাগর নদের দুরত্ব বেশি হওয়ায় প্রশাসনের আগমন আগাম টের পেয়ে তাদের সরঞ্জাম সরিয়ে ফেলে পালিয়ে যায় চিহিৃত বালুদস্যুদের দল। প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ফিরে আসার পরপর পুনরায় শুরু করে তাদের মাটি ও বালু উত্তোলনের তান্ডব। তারা কোন্ খুঁটির জোরে নাগর নদ থেকে এ ভাবে অবৈধ ভাবে মাটি কেটে ও বালু উত্তোালন করে ট্রাকযোগে বহন করে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। এ নিয়েই জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে। বালু উত্তোলনকারি রাজাসহ অনেকই জানায়, তাদের পূর্বপুরুষের সম্পত্তি থাকায় মাটি ও বালু উত্তোলন করে থাকে। এলাকাবাসি নগর নদকে বাঁচাতে এই উৎসব বন্ধের আহবান জানান। উপজেলা নির্বাহি অফিসার সাদেকুর রহমান নিয়মিত অভিযানের বিষয় নিশ্চিত করে জানান, বালু উত্তোলন ও মাটি কেটে নেয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি মো: হাফিজার রহমান।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.