আদমদীঘিতে অপহরণের নাটক করে মায়ের নিকট মুক্তিপণ দাবী !

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘিতে সামিউল ইসলাম (১৯) নামের এক কলেজ ছাত্র আত্মগোপনে থেকে অপহরনের নাটক সাজিয়ে তার বন্ধুর মাধ্যমে মায়ের নিকট দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে নিজেই ফেঁসে গেছেন।

অবশেষে গতকাল শনিবার রাত ১২টায় বগুড়ার রানা প্লাজার সামনে থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। সামিউল ইসলাম উপজেলার তিলছ সিতাহার গ্রামে প্রবাসি আব্দুল লতিফের ছেলে। এ ঘটনাটি এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জালাল উদ্দীন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, সামিউল ইসলাম বগুড়া ওয়াই, এম,সি স্কুল এন্ড কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র বগুড়াস্থ জলেশ্বরীতলা রাজ্জাক ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশুনা করে। সে সম্প্রতি বাড়ীতে আসার পর গত ১৮ মার্চ রাত ৯টায় নিজেই বাড়ী থেকে না বলে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়।

তার মা বিজলি বেগমসহ স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করা কালে গত ১৯ মার্চ সামিউল ইসলামকে পেতে হলে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে মোবাইল ফোনে তার মা বিজলিকে জানানো হয়।

এরপর মা বিজলি বেগম আদমদীঘি থানার শরনাপন্ন হলে পুলিশ সামিউল ইসলামকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে। এক পর্যায়ে প্রথমে দুপচাঁচিয়া ও পরে বগুড়া টাকাসহ আসতে বলা হয়। সেই মতে আদমদীঘি থানা ও বগুড়ার ডিবি পুলিশের সহযোগীতায় মা বিজলি বেগম টাকাসহ স্বজনদের নিয়ে বগুড়ার রানা প্লাজায় উপস্থিত হয়। এরপর সামিউলকে দেখে তাকে আটক করে পুলিশ।

আজ রোববার সন্ধ্যায় আদমদীঘি থানায় সামিউল ইসলাম জানায়, তার প্রবাসি বাবা টাকা না দেয়ার কারনে নিজেই তার বন্ধু আল-আমিনের সহযোগীতায় এই দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করি। আসলে অপহরণ হইনি টাকার প্রয়োজনে এই অপহরণ নাটকটি করি। এ ঘটনায় তার মা বিজলি বেগম কোন মামলা করবেনা বলে জানান।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি মো: হাফিজার রহমান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.