আত্মতৃপ্তি নয়, রাজ্যকে সতর্কবার্তা কেন্দ্রের

(আত্মতৃপ্তি নয়, রাজ্যকে সতর্কবার্তা কেন্দ্রের)
কলকাতা-হাওড়া (ভারত) প্রতিনিধি: কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ এখনও বিদায় নেয়নি। তাই আত্মতৃপ্তিরও কোনও অবকাশ নেই। কেন্দ্র এই মর্মে সতর্ক করে দিয়েছে প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে।
গতকাল বুধবার (১৪ জুলাই) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব চিঠি দিয়েছেন সব রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। মাস্ক থেকে শুরু করে  সামাজিক দুরত্ব- জনগণ যাতে কোভিড বিধি অক্ষরে অক্ষরে পালন করে সেদিকে কড়া নজর রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত স্তরে তো বটেই, কোনও সংগঠন, সংস্থা, বাজারদোকান,শপিং মল, অফিসকাছারি সহ কোথাও কোভিড বিধি মানা না শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকারকে এখন বিশেষভাবে ভাবাচ্ছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। সিমলা, নৈনিতাল থেকে শুরু করে দার্জিলিং, ডুয়ার্সের পাহাড়-জঙ্গল কিংবা বঙ্গোপসাগর সৈকতে দিঘা-শঙ্করপুর-মন্দারমণি-উদয়পুরে এখন উপচে পড়ছে পর্যটকদের ভিড়। বিধিনিষেধ একটু শিথিল হতেই ভ্রমণপিপাসুদের আর পায় কে! ঠিক এই জায়গাটাতেই আশঙ্কার কালো মেঘ দেখতে পাচ্ছে প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তর। দিনকয়েক আগেই অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছিল,আপাতত বন্ধ রাখুন বাইরে বেড়াতে যাওয়া।
করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে কেন তা জরুরি, ব্যাখ্যা করা হয়েছিল তা-ও। তবুও অনেক জায়গাতেই রীতিমতো চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পর্যটকদের স্রোত। স্বাভাবিকভাবেই শক্ত হাতে হাল ধরতে চাইছে সরকার।
পশ্চিমবঙ্গে সমুদ্র তিরের দিঘা থেকে শুরু করে শৈলরানি দার্জিলিং কিংবা পাহাড়-জঙ্গলের ডুয়ার্স – একই সতর্কবার্তা প্রশাসনের। হোটেলে ঘর নিতে হলে, টিকার প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ বাধ্যতামূলক। দেখাতে হবে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেটও। না থাকলে ফিরে যেতেই হবে।
কিন্তু পর্যটন কেন্দ্রের অর্থনীতি তো ধাক্কা খাবে পর্যটকদের অভাবে। অগত্যা হোটেল মালিকদের সংগঠন দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগেই শুরু হয়েছে পর্যটকদের কোভিড-টেস্ট। ওল্ড দিঘায় প্রবেশের মুখেই বুধবার খোলা হয়েছে এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির। চলবে টানা ১৫ দিন।
এদিকে রাজ্যে আরও ভ্যাকসিন পাঠানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাজ্য সচিবালয় নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে দাবি করেছেন, দ্বিতীয় টিকাকরণে দেশের সেরা বাংলা। টিকা নষ্ট হওয়ার হারও সবচেয়ে কম পশ্চিমবঙ্গেই।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা-হাওড়া (ভারত) প্রতিনিধি সৌম্য সিংহ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.