আত্মঘাতী গোলে বায়ার্নের জয়

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: বুন্দেসলিগায় অপ্রতিরোধ্য বায়ার্ন মিউনিখ। গোল-মেশিন রবের্ত লেভানদোভস্কির গোলও নেই থেমে। তবুও আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে লিগ ম্যাচে আরবি লাইপজিগের বিপক্ষে তাদের জিততে হয়েছে আত্মঘাতী গোলে।
ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে লিগ ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতেছে বায়ার্ন। দুই দফায় সমতা টানার পর জিভারদিওলের আত্মঘাতী গোলে কপাল পোড়ে আরবি লাইপজিগের।
নিজেদের ঘরের মাঠে শুরু থেকেই আক্রমণে আধিপত্য বায়ার্ন মিউনিখের। জার্মান জায়ান্টদের একের পর এক আক্রমণে ম্যাচের শুরু থেকে চাপে পড়ে লাইপজিগ। পয়েন্ট টেবিলের দুই দলের ব্যবধানটাও ছয় ধাপের। আধিপত্য ধরে রেখে ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রথম সাফল্য ‍তুলে নেয় বায়ার্ন। পোলিশ তারকা রবের্ত লেভানদোভস্কির শট গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন, তবে করতে পারেননি পুরোপুরি বিপদমুক্ত। ডি-বক্সে থাকা থমাস মুলার বল পেয়ে সরাসরি জালে জড়িয়ে দলকে লিড এনে দেন। তবে সে লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি বায়ার্ন।
প্রতিপক্ষের মাঠে শক্তিমত্তার পরিচয় দেয় লাইপজিগও। ম্যাচের ২৭ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান পর্তুগিজ তারকা আন্দ্রে সিলভা। ম্যাচের প্রথমার্ধে  আরও দুটি সুবর্ণ সুযোগ ভেস্তে যায় বায়ার্নের। কিংসলে কোমানের শট লাগে পোস্টে। আর মুলার বল জালে পাঠালেও তার আগে লেভানদোভস্কি প্রতিপক্ষের একজনকে ফাউল করায় মেলেনি গোল। তবে গোল-মেশিন গোল করা থেকে বিরত থাকবেন–তা কী করে হয়! ম্যাচের ৪৪ মিনিটে গোল করে দলকে ফের লিডে ফেরান পোলিশ তারকা।
বাঁদিক থেকে কোমানের ক্রসে হেডে আসরের নিজের ২৪তম গোলটি করেন এবারের লিগে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা। লিগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ গোল লেভারকুসেনের প্যাট্রিকের। আর নরওয়েজীয় তারকা হল্যান্ড ১৬ গোল করে আছেন তালিকার তিনে।
দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে দ্বিতীয় দফায় সমতায় ফেরে সফরকারীরা। সতীর্থের দারুণ থ্রু বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে নিচু শটে ম্যানুয়েল নয়ারকে পরাস্ত করেন ফরাসি মিডফিল্ডার ক্রিস্টোফার এনকুকু। তবে সমতায় ফেরার স্বস্তি ছয় মিনিট পরই উবে যায় তাদের। ডান দিক থেকে নিচু কোনাকুনি শট নেন সের্গে জিনাব্রি, ঠেকাতে পা বাড়ান ডিফেন্ডার জিভারদিওল। তার পায়ে লেগে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায় বল। ঠেকানোর কোনো সুযোগই পাননি গোলরক্ষক।
ম্যাচের ৫৮ মিনিটেই ৩-২ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। এরপর অনেক চেষ্টা করেও দুই দলের কোনো ফুটবলারই বল জালে জড়াতে পারেননি। এ ক্ষেত্রে কৃতিত্বটা দুই দলের গোলরক্ষকদেরই। ম্যাচে বায়ার্ন ও লাইপজিগের সমান ৭টি করে শট ছিল লক্ষ্য বরাবর। সেখানে জালে জড়িয়েছে মাত্র ৫টি বল। পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে লিগ চ্যাম্পিয়নের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল লেভানদোভস্কিরা।
২১ ম্যাচে ১৭ জয় ও এক ড্রয়ে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে তারা। এক ম্যাচ কম খেলা বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুইয়ে। আজ রাতে বরুশিয়া মাঠে নামবে লেভারকুসেনের বিপক্ষে। গতবারের রানার্সআপ লাইপজিগ ২১ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে আছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.