বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে এক ক্লাসিক প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচের সাক্ষী হলো ফুটবলপ্রেমীরা। একাধিকবার লিড বদল, টানা আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ আর শেষ মুহূর্তের নাটক, কী ছিল না আট গোলের এই শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে। শেষ পর্যন্ত ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও বোর্নমাউথ।
ম্যাচের উত্তেজনায় খানিকটা আড়ালে পড়ে যায় ইউনাইটেড কোচ রুবেন আমোরিমের কৌশলগত পরিবর্তন।
পাঁচজনের রক্ষণে সামান্য রদবদল করে আমাদ দিয়ালোকে এগিয়ে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সেই সিদ্ধান্তের সুফলও মেলে দ্রুত।
ম্যাচের ১৩ মিনিটে কাছ থেকে হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন আইভোরিয়ান উইঙ্গার।
এরপর ৪০ মিনিটে বোর্নমাউথ সমতা ফেরালেও বিরতির ঠিক আগ মুহুর্তে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ক্যাসিমিরোর গোলে ২-১ ব্যবধানে লিড নেয় রেড ডেভিলরা।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার মাত্র সাত মিনিটের মধ্যেই ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেন বোর্নমাউথের এভানিলসন ও মার্কাস ট্যাভার্নিয়ার। তাদের জোড়া গোলে পিছিয়ে পড়ে রেড ডেভিলরা।
তবে নাটক এখানেই শেষ নয়। মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে ব্রুনো ফের্নান্দেসের ফ্রি-কিক ও মাতেউস কুনহার গোলে আবারও ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ নেয় ইউনাইটেড।
৪-৩ গোলে এগিয়ে থাকা ইউনাইটেডের খেলা দেখে মনে হচ্ছিল, জয় বুঝি হাতের মুঠোয়। কিন্তু ৮৪তম মিনিটে ১৯ বছর বয়সী এলি জুনিয়র ক্রুপির জোরালো শটে সমতায় ফেরে বোর্নমাউথ।
সেই গোলেই নিশ্চিত হয় আট গোলের থ্রিলার থেকে দুই দলের এক পয়েন্ট করে পাওয়া।
ম্যাচে ইউনাইটেড প্রথম ১০ মিনিটেই ছয়টি শট নেয় প্রতিপক্ষের গোলের দিকে। ২০২২ সালের অক্টোবরের পর প্রিমিয়ার লিগে এত দ্রুত এত শট নেওয়ার নজির আর নেই।
পুরো ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে শট নেয় ৩৮টি।
এই ড্রয়ে ইপিএল টেবিলের শীর্ষ পাঁচে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া হলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। ১৬ ম্যাচ শেষে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে। সমান ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে ১১তম স্থানে আছে বোর্নমাউথ। #















