আজ রবিবার নাটোর জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১৩ জন, জেলায় মোট ১৪৮

নাটোর প্রতিনিধি: আজ রবিবার নাটোর জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১৩ জন। এদের মধ্যে নাটোর সদর এলাকার ৫ জন, সিংড়ার ৩ জন, গুরুদাশপুরের ৩ জন ও বড়াইগ্রামের ২ জন। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪৮ জনে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে খুব শিগগিরই রেড জোনের আওতায় আসতে পারে নাটোর জেলা। তারা আশঙ্কা করছে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা আরোবৃদ্ধি পাবে।

সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ পক্ষ। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য দেয়া হচ্ছে তাগাদা।

নাটোরে ঢাকঢোল পিটিয়ে আজ নাটোরের ডিসি এসপি আড়ম্বরপূর্ণ ঘোষণা আর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে উদ্বোধন করলেন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ পক্ষ। জনগণকে মাস্ক পড়াতে এ সময় সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয় মাস্ক। বক্তারা নানাবিধ কথা বলেন, দেন হুঁশিয়ারি। কিন্তু জনগণ তা থোরাই কেয়ার করেন।

নাটোর শহরের অদূরে তেবারিয়ার হাটে একই সময়ে চলছে তখন স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রতিযোগিতা। হাজার হাজার মানুষ কোন সামাজিক দূরত্ব বজায় নেই। ৮০ ভাগ লোকের মুখে নেই মাস্ক। অথচ সেখানে প্রশাসনের কোনো লোককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আজ রবিবার বিকেল পর্যন্ত এভাবেই চলবে হাট।স্বাস্থ্যবিধি পালন নিশ্চিত করতে জেলায় দশটি ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে নামানো হয়েছে বলে জানানো হলেও হাট এলাকায় দুপুর পর্যন্ত একটিও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এছাড়া পুলিশ সুপার শহরতলি ও গ্রামাঞ্চলে স্টলগুলোতে টিভি না চালানোর নির্দেশ দিলে ও তাবারিয়া হাটে এর আশেপাশে অনেক দোকানেই চলছিল টেলিভিশন। নাটোরের তেবাড়িয়া হাট শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই হাটে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সমাগম ক্রেতা ও বিক্রেতাদের।

অর্থনৈতিক চাবিকাঠি বাণিজ্য আর এই বাণিজ্যকে টিকিয়ে রাখতে করোনাকালীন চলছে তেবারিয়া হাট তবে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নাই এই হাটের কোন স্থানে প্রায় ৫০ হাজারের অধিক মানুষ একত্রিত রয়েছে। স্তরে স্তরে সাজানো ছোট ছোট বিভিন্ন হাটি এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য গরু হাটি ছাগল হাটি কবুতরহাটি সবজি ফলমূল হাটি সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র খাদ্য সামগ্রী ও চারা এবং বীজ এর দোকান বিভিন্ন স্তরে সাজানো আছে এই হাট সরজমিনে দেখা যায় এই হাটের কোথাও সামাজিক দূরত্ব বজায় নেই।

স্বাস্থ্যবিধি মানতে প্রশাসনের কোনো তদারকি দেখা যায় না। শতকরা ৮০ জন মানুষের মুখে নেই মাক্স । কোথাও দেখা মেলেনি জীবাণু নাশক স্প্রে। এখানে উপস্থিত হয়ে বোঝা যাচ্ছে না আমরা করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছি। আমাদের ভবিষ্যৎ কি হবে? এমন দুশ্চিন্তায় নাটোরের সচেতন মহলের অনেকেই।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.