আজ বিজয় দিবসের ২২তম বর্ষপূর্তি

(আজ বিজয় দিবসের ২২তম বর্ষপূর্তি)
বিশেষ (ভারত) প্রতিনিধি: টানা ৬০ দিনের লড়াই শেষে ১৯৯৯ সালে ২৬ জুলাই পাহাড়ের চূড়ায় জম্মু-কাশ্মীরের কার্গিলের নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধ হয়েছিল ভারত-পাকিস্তানের। অবশেষে এইদিনই সেখান থেকে পাক সেনাকে হঠিয়ে দিতে সমর্থ হয় ভারতীয় সেনা। দিনটিকে স্মরন করতেই এটিকে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কার্গিল ও দ্রাসে দুটি জায়গা আচমকা দখল করে নেয় পাক সেনা। সেই দখল মুক্ত করতেই ভারত শুরু করে অপারেশন বিজয়।
কার্গিলে যুদ্ধে মোট ৪৫৩ জন পাকিস্তানি সেনার মৃত্যু হয়। যুদ্ধবন্দির সংখ্যা ৮ জন। এই যুদ্ধে পাকিস্তান প্রায় ৫ হাজার সেনা পাঠায়। যুদ্ধ চলাকালীন দু’টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী। আরও একটি ভেঙে পড়েছিল মাটিতে। এই যুদ্ধে কারগিলকে তাক করার নেপথ্যে পাকিস্তানের মূল উদ্দেশ্য ছিল লাদাখ এবং কাশ্মীরের মধ্যে সংযোগ ছিন্ন করা। এবং এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে আসা, যাতে বিভিন্ন অজুহাতে তারা তাদের দখল সফল করতে অন্যান্য দেশের সাহায্য পায়। কিন্তু এমন কিছুই হয়নি। এমনকী, চিনও সাড়া দেয়নি এই যুদ্ধে। ভারতের প্রায় ৫২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল যুদ্ধে।
১৯৯৯ সালে ৩ মে যুদ্ধ শুরু হয় এবং শেষ হয় ২৬ জুলাই। আজ সেই বিজয় দিবসের ২২ তম বার্ষিকী৷ লড়াই চলে মোট ২ মাস তিন সপ্তাহ ২ দিন। যদিও ১৪ জুলাই অটলবিহারী বাজপেয়ী ‘অপারেশন বিজয়’-এর সাফল্য ঘোষণা করেছিলেন।
১৯৯৯ সালের ‘কারগিল যুদ্ধ’ প্রসঙ্গে বলা হয় প্রতিবেশী পাকিস্তান চরম বিশ্বাসহীনতার নিদর্শন দেখিয়েছে । কারণ, সংঘর্ষের মাত্র দু’মাস আগেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী লাহোর সফর করেছিলেন। শীতে কাশ্মীর সীমান্তের কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা মাইনাস ৪০ ডিগ্রি নেমে যায়। ছাউনি ছেড়ে সেনারা সরে আসে। কারগিল যুদ্ধ যখন হচ্ছে, তখন ভারত-পাক দু’টি দেশই পারমাণবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ। ১৯৭১-এর ‘মুক্তিযুদ্ধ’-র পর থেকে দীর্ঘকালীন শান্তি বজায় থাকলেও ১৯৯৮-এর মে মাসে ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশেরই পারমাণবিক বোমা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যুদ্ধের পটভূমিকা রচিত হতে থাকে। যদিও, ১৯৭৪ সালে ভারত প্রথম পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা করে।
প্রতি বছরের মতো এবারেও উদযাপিত হচ্ছে কার্গিল বিজয় দিবস। যার শুরুটা হয়ে গিয়েছে রবিবার থেকেই। তোলোলিং (Tololing), টাইগার হিল (Tiger Hill) এবং অন্য অঞ্চলে ভারতীয় সেনার পরাক্রম এবং যুদ্ধজয়ের স্মৃতিতে লাদাখের দ্রাসের কার্গিল ওয়ার মেমোরিয়ালে (Kargil War Memorial) জ্বালানো হয়েছিল ৫৫৯টি প্রদীপ। জাতির উদ্দেশে রবিবার বক্তব্যও রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ভারতীয় সেনার প্রভূত প্রশস্তি শেষে ২২তম কার্গিল বিজয় দিবসে তাঁর প্রস্তাব- দিনটি এবার থেকে উদযাপিত হোক অমৃত মহোৎসব (Amrut Mahotsav) নামে।

https://twitter.com/MamataOfficial/status/1419505830987145222?s=19
আজ এই ২২তম বিজয় দিবসে প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী এবং আরও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা ট্যুইট করে এই বীর শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ৷ বিটিসি নিউজের পক্ষ থেকে এই বীর শহিদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানাই আমরা৷
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (ভারত) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। # 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.