আগের সেই ক্যাসেট-সিডির যুগ নেই, শিল্পীরা নিজ উদ্যোগে কতগুলো গান প্রকাশ করছেন? : ডলি সায়ন্তনী

বিটিসি বিনোদন ডেস্ক: এখন আর আগের সেই ক্যাসেট-সিডির যুগ নেই। ইউটিউবের কল্যাণে সব কিছু সহজ হয়ে গেছে। শিল্পীদের গান প্রকাশের জন্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে না। কিন্তু নিজেদের ইউটিউব চ্যানেলে আমাদের শিল্পীরা নিজ উদ্যোগে কতগুলো গান প্রকাশ করছেন?- এ সময়ে শিল্পীদের গান প্রকাশ নিয়ে কথাগুলো বললেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনী।

তার ভাষ্য, আমাদের এখন প্রায় সব শিল্পীর নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল আছে। প্রত্যেক শিল্পী যদি বছরে দুটি করে গান প্রকাশ করে তাহলে বছর শেষে আমাদের ভালো গানের সংখ্যা অনেক হয়। গানের বাজারটাও চাঙ্গা থাকবে। শিল্পী-গীতিকার ও সুরকার সবার ব্যস্ততা থাকবে বছর জুড়ে।

এদিকে এ তারকা সম্প্রতি তার গাওয়া জনপ্রিয় দুটি গানের মিউজিক ভিডিও করেছেন। একইসঙ্গে দুটি গানের নতুন ভাবে সংগীতায়োজন করেছেন বলেও জানান সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনী। গান দুটির একটি হলো ‘বুড়ি হলাম’। এটির সংগীতায়োজন করেছেন পার্থ মজুমদার ও সংগীত পরিচালনা করেছেন অ্যামিল। অন্যটি ‘শ্যাম তুমি লীলা বোঝ’। এটির সংগীতায়োজন ও সংগীত পরিচালনা করেছেন অ্যামিল ও সাব্বির জামান। পুরানো গান নতুন ভাবে দর্শক-শ্রোতাদের সামনে নিয়ে আসার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের কাছে আমার ক্যারিয়ারের প্রথম দিকের জনপ্রিয় গানগুলোর অনুরোধ পাই।

নতুন প্রজন্মের শ্রোতারাও এ গানগুলো শুনতে চায়। সময়োপযোগী করে তাই জনপ্রিয় গানগুলো আবার নতুনভাবে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এ গানগুলো ক্রমান্বয়ে আমার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করবো। চলতি বছরের শুরু থেকে ‘হে যুবক’খ্যাত এ সংগীতশিল্পী গানে সরব আছেন। বছরের শুরু দিকে সংগীতশিল্পী আসিফ আকবরের সঙ্গে ‘মন হয়ে যায় ভালো’ শিরোনামের একটি গান প্রকাশ করেন।

পরবর্তিতে তাকে দেখা যায় ‘ভালোবাসি তোকে’ শিরোনামের আরো একটি গানে। দুটি গানই শ্রোতাদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলে। নতুন গানের খবর কি? ডলি বলেন, নতুন কিছু গানের পরিকল্পনা নিয়েছি। কিছু কাজও করছি। ডিসেম্বরের শেষের দিকে কিংবা নতুন বছরে শ্রোতারা নতুন গান পাবে।

আমি ক্যারিয়ারের শুরু থেকে ভালো গান করে আসছি। এখনো চাই শ্রোতাদের মনে দাগ কাটে এমন কিছু গান করতে। সস্তা গানে নিজেকে ভাসাতে চাই না। নতুন প্রজন্মের অনেক শিল্পী আজকাল গান করছেন। কিন্তু শ্রোতাদের মনে জায়গা করতে পারছে না। কারণ কি বলে মনে করেন ডলি? তিনি বলেন, এখানে নির্দিষ্ট করে কোনো একটি কারণ বলা যাবে না।

বেশ কিছু বিষয় আছে। আমরা যখন গান করতাম তখন গীতিকার-সুরকার শিল্পী একসঙ্গে বসে আলোচনা করতাম গানের বিষয়ে। একটি অ্যালবামের কাজ শুরুর আগে আমাদের মধ্যে আলোচনা হতো কোন ধরনের গান করবো।

অর্থাৎ অ্যালবামে কোন ধরনের গান থাকবে। কথা ও সুর কেমন হবে। এই সময়ে এমনটা খুব বেশি হয় না। একজন শিল্পীর কন্ঠে সব ধরনের গান শ্রোতারা শুনতে চায় না। সব গান একজন শিল্পীর কন্ঠে ভালোও হয় না।

শিল্পীকে জানতে হবে শ্রোতারা কি চায়? একইসঙ্গে যদি শিল্পীর স্বকীয়তা না থাকে সেখানে শ্রোতারা কখনো তাকে নিবে না। চলতি বছরে আমাদের জনপ্রিয় শিল্পীদের গানের সংখ্যা কম বলে অনেকে মন্তব্য করছেন।

আপনার অভিমমত কি? এ প্রশ্নের উত্তরে ডলি বলেন, আগে জনপ্রিয় শিল্পীদের প্রায় প্রত্যেকে অডিও গানের বাইরে চলচ্চিত্রে গান করতেন। যার কারণে বছরজুড়ে শ্রোতারা তাদের গান পেতেন। কিন্তু এখন চলচ্চিত্র নির্মাণের সংখ্যা কমে গেছে।

এছাড়া অনেক চলচ্চিত্রে বাইরের শিল্পীদের দিয়ে গান করানো হচ্ছে। যার কারণে জনপ্রিয় শিল্পীদের গানের সংখ্যা অনেক কম বলে আমি মনে করি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.