আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু, চলবে টানা ১৫ দিন

 

ঢাকা প্রতিনিধি: বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও বলেছেন, আগামী ১৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার  থেকে একটানা ১৫দিন প্রথম ব্যাচের রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চলবে। প্রথমধাপে ৪৮৫ পরিবারের ২ হাজার ২৬১জন রোহিঙ্গা কক্সবাজারের শিবির থেকে তাদের নিজেদের বসতভিটা মিয়ানমারে ফিরে যাবে।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। এর আগে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে প্রত্যাবাসন নিয়ে বৈঠক করেন।

এসময় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘আগামী ১৫ নভেম্বরের রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রথম ব্যাচে ২ হাজার ২৬১ জন রোহিঙ্গা ১৫ দিনে মিয়ানমার ফিরে যাবে।’

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘নৌপথে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার ফিরে যাবে। প্রতিদিন ফিরে যাওয়ার সময় নির্ভর করবে জোয়ার-ভাটার ওপর। কক্সবাজারের একাধিক শিবির থেকে প্রতিদিন দেড়শ জন করে রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।’

এর আগে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনার। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রত্যাবাসনের জন্য ঢাকার পক্ষ থেকে নেপিডো’কে (মিয়ানমারের রাজধানী) দুটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। প্রথম তালিকায় ৮ হাজার ৩২ এবং দ্বিতীয় তালিকায় ২২ হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নাম হয়েছে। আমরা চাচ্ছি প্রত্যাবাসন শুরু হলে যেন এ প্রক্রিয়ায় ছেদ না পরে। এ জন্য আমরা যাচাই-বাছাই নিয়ে নেপিডো কে তাগাদা দিয়েছি।’

নেপিডোর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, এরই মধ্যে ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের বসবাসের জন্য ভারত সরকার ২৮৫টি বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছে। আর চীন সরকার এক হাজার বাড়ির কাঠামো পাঠিয়েছে, যেগুলো সংযোগ করলেই পূর্ণ বাড়িতে রূপ নেবে।

কূটনৈতিক সূত্রে আরও জানা গেছে, প্রথম ব্যাচের ২ হাজার ২৬১ জন রোহিঙ্গার মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ২৩ জনের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছে মিয়ানমার। অন্যদিকে, দুই দেশের সীমান্তের শূন্য রেখায় যেসব রোহিঙ্গা বসবাস করছে, তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কাজও শিগগিরই শুরু হচ্ছে।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.