আউটসোর্সিং জনবল সরবরাহের টেন্ডারে অনিয়ম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত 

প্রতীকী ছবি
খুলনা ব্যুরো: খুলনা সিভিল সার্জনের দপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের টেন্ডারে অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর বুধবার (৮ নভেম্বর) এ তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে। গঠিত তদন্ত কমিটির সভাপতির অবর্তমানে কমিটির সদস্য ও খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক দপ্তরের সহকারী পরিচালক ডাঃ মোঃ আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি টিম এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে। এসময় খুলনার সিভিল সার্জনসহ ওই দপ্তরের মোট ছয়জনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় বলে সহকারী পরিচালক(প্রশাসন) ডাঃ মোঃ আখতারুজ্জামান জানান।
তিনি বলেন, তদন্তকালে কমিটির অপর সদস্য ও খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এম এম জাহাতাব হোসেন ও প্রধান সহকারী মোঃ মাছুম বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। সকাল ১০টা থেকে প্রায় আড়াইঘন্টাব্যাপী সিভিল সার্জনের দপ্তরে তারা অবস্থান করে সিভিল সার্জন, হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ঠিকাদারসহ আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগ সংক্রান্ত টেন্ডার প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত অন্তত: ছয়জনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
তদন্ত শেষে তদন্ত প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হবে বলেও তিনি জানান। তবে কমিটির সভাপতি ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ মোঃ মনজুরুল মুরশিদ জরুরি কাজে ঢাকায় অবস্থান করায় তিনি তদন্তকাজে থাকতে পারেননি বলেও জানান।
এর আগে চলতি বছরের ১১ মার্চ খুলনার সিভিল সার্জন বরাবর এবং ১৯ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন, আউটসোর্সিং কর্মচারী সরবরাহের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টি, ফোর এস. ইন্টারন্যাশনাল প্রাঃ লিঃ এর পক্ষে এস, এম গিয়াস উদ্দীন। ওই অভিযোগপত্রে আউটসোর্সিং কর্মচারী সরবরাহের ঠিকাদার নিয়োগের টেন্ডারে অনিয়ম হয়েছে বলে সাত দফা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরা হয়।
যার আলোকে গত ২২ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ সামিউল ইসলাম খুলনার বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালককে বিষয়টি তদন্ত করে পত্র প্রাপ্তির পর ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ৩১ অক্টোবর ওই পত্র প্রাপ্তির পর পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ মোঃ মনজুরুল মুরশিদকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির পক্ষ থেকে সম্প্রতি পত্র দিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে গিয়ে সরোজমিনে তদন্তের দিন-তারিখ জানানো হয়। নির্দিষ্ট দিনে গতকাল সকালে ওই তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, যে টেন্ডারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং তদন্ত হলো সেই টেন্ডারে অংশ নিয়েই ফুলতলার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জনবল সরবরাহের কাজ পায়। ওই টেন্ডারের বিরুদ্ধে অবশ্য মাছরাঙা সিকিউরিটি সার্ভিসেস (প্রাঃ) লিঃ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একাধিক মামলা এবং সর্বশেষ আইনী নোটিশও দেওয়া হয়। কিন্তু কোন কিছুকে তোয়াক্কা না করেই সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাব বিভাগের এক ব্যক্তির মাধ্যমে নানাভাবে আইনী ফাঁক-ফোঁকর বের করে পূর্বের ঠিকাদারের কাজ চলমান রাখার চেষ্টা চলে। ঠিক এমন সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ তদন্ত অনেকটা গুরুত্ব বহন করে বলেও অভিজ্ঞ মহলের অভিমত।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.