অ্যান্টার্কটিকার বরফের নিচে ৩৩২টি নতুন গিরিখাতের সন্ধান

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বরফে ঢাকা রহস্যময় মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকার বরফের নিচে ৩৩২টি নতুন গিরিখাতের সন্ধান পেয়েছেন স্পেনের ইউনিভার্সিটি অব বার্সেলোনা এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ কর্কের একদল গবেষক।
এতদিন এসব গিরিখাতের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা ছিল না। গবেষকরা দাবি করছেন যে, নতুন আবিষ্কৃত গিরিখাতগুলোর মধ্যে কিছু গিরিখাত ৪ হাজার মিটার পর্যন্ত গভীর, যা যুক্তরাষ্ট্রের গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের গভীরতার সমান।
গবেষণায় দেখা গেছে, নতুন আবিষ্কৃত গিরিখাতগুলো অ্যান্টার্কটিকার পূর্ব ও পশ্চিম অংশের ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য বহন করছে। পূর্ব অ্যান্টার্কটিকার গিরিখাতগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি বিস্তৃত এবং শাখা-প্রশাখাযুক্ত। সেখানকার বরফের স্তর দীর্ঘ সময় ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। অন্যদিকে, পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার গিরিখাতগুলো বেশ খাড়া ও সরল এবং আকারেও বেশ ছোট।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে, এই গিরিখাতগুলো সমুদ্রের পানিপ্রবাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সমুদ্রের ঘন ও লবণাক্ত পানি এসব গিরিখাত দিয়ে নিচের দিকে প্রবাহিত হয়, আর তাই বৈশ্বিক সমুদ্র স্রোত পরিচালনায় এই গিরিখাতগুলোর ভূমিকা রয়েছে। তাদের ধারণা, গভীর সমুদ্রের উষ্ণ পানি এই গিরিখাতগুলোর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কিছু বরফের স্তরকে দ্রুত গলিয়ে দিচ্ছে।
নাসার স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবি অনুযায়ী, অ্যান্টার্কটিকার বরফের স্তর দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে এই মহাদেশের বরফ গলে যাচ্ছে। এর ফলে অ্যান্টার্কটিকার পশ্চিম অংশের বরফের স্তর প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমছে। বিশেষ করে আমুন্ডসেন সমুদ্র এলাকায় বরফ খুব দ্রুত গলছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.