অস্ত্রধারীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে!, বাগমারায় মামলার নামে চাঁদাবাজির রমরমা ব্যবসার অভিযোগ

প্রতীকী ছবি
বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারায় মামলার নামে চাঁদাবাজির রমরমা ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে। বিগত আ’লীগ সরকারে পৃষ্টপোষকতায় সারা দেশের ন্যায় হামলা-মামলা, এলাকা ভিত্তিক জমি দখল, নিয়োগ বানিজ্য, চাঁদাবাজিতে বাগমারায় চলে ‘মগের মুল্লক’।
একই ভাবে কোটা বিরোধী আন্দোলন প্রতিহত করতে ৫ আগষ্ট সকালে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-জনতার উপর ধাওয়া, দোকান ভাঙচুর, লাঠিপিটা, গুলি, ককটেল বিস্ফোরণে উপজেলা সদর ছিল দুপুর পর্যন্ত ছিল নৈরাজ্যতন্ত্রী। এসব কে প্রতিহত করতে চলছে চুল চেরা বিশ্লেষণ। তবে নেই কোন তেমন প্রতিরোধ ব্যবস্থা। এ পর্যন্ত উপজেলায় ২টি রাজনৈতিক মামলা হয়েছে।
এদিকে আ’লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন সময়ে দলের নেতাকর্মী নিজের ফায়দা লুটতে বিভিন্ন অপকর্ম করলেও প্রকৃত অপরাধীর অস্ত্রধারীরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকায় সাধারনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ওই সব অপরাধীরা কোন এক দলের নেতাকর্মীকে চাঁদা দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন বলে বিশিষ্ট জনেরা দাবি করছেন।
জানা গেছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার তোপের মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পলায়ন করায় দেশ ব্যাপি চলছে সংস্কারের কাজ।
সংস্কারের অংশ হিসেবে বাগমারায় বিগত দিনে স্থানীয় দুই আ’লীগ নেতা ক্ষমতাসীন দলের হয়ে নিয়োগ বানিজ্য, চাঁদাবাজি, লুটতোরাজে এলাকায় ত্রাসের রাজ্য কায়েম করলেও তাদের মুল অংশের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তেমন ব্যবস্থা নেই। এদের কাজে সহযোগীতায় এলাকার প্রভাবশালী ও স্বার্থনেষীমহলসহ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরাও ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
বর্তমানে রাজনেতিক পেক্ষাপট পরিবর্তন হলেও ওই প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে এলাকাবাসী দাবি করেছেন।এক ধরনের সুবিধাভোগীরা মামলা করতে গেলে তাদেরকে ভিন্ন ভাবে প্রভাবিত করছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করছেন। কেউ কেউ আগে দোষীদের সাথে যোগাযোগ করে অর্থ লুটে নিচ্ছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।
যদিও গত (১৭ আগষ্ট) রাতে সাবেক এমপি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদসহ আ’লীগের ৮২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করা হয়। ওই মামলায় বিএনপি’র নেতার উপর অতর্কিত গুলি, কর্মীদের উপর হামলা, বাড়িঘর ও দোকান পাট ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, হাট বাজারে বোমা ফাটিয়ে আতংক সৃষ্টির অভিযোগ করে মামলাটি করেন উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের যুবদলের নেতা হানিফের ছেলে আব্দুল মতিন।
এছাড়া গত ২৮ আগষ্ট বুধবার একই ভাবে স্থানীয় সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত ১৫০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
শিমুল আলী খাঁ ছাত্র-জনতার কোটা আন্দোলনে গত ৫ আগষ্ট উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ যাওয়ার পথে তাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে করা হয়। ব্যবসায়ীক শিমুল খাঁ উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের রামরামা গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে।
এদিকে গত সোমবার (৫ আগষ্ট) আন্দোলনের শেষ দিনে সকালে প্রকাশ্যে আ’লীগ ক্যাডাররা ছাত্র ও জনতাকে দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া, চাপাতি, লাঠি-সোটা ও পিস্তল নিয়ে হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেসের মাধ্যমে সনাক্ত করে গ্রেফতারের দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
একই ভাবে ভবানীগঞ্জ বাজারের নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, উপজেলায় রাজনৈতিক ভাবে দুইটি মামলা পর আরো বেশ কয়েকটি মামলার জন্য ভুক্তভোগীর পরিবাররা চেষ্টা করলেও কোন এক অশুভশক্তি তা বাধা সৃষ্টির অন্তরায় হয়ে দাঁড়িছেন।
প্রকাশ্যে হাসুয়া, রামদা ও অস্ত্র নিয়ে গুলি করা ব্যক্তিদের নাম উঠে আসলেও তাদের বিরুদ্ধে আইন শৃংখলাবাহিনীর নিস্ক্রিয় হতভম্ব ওই ব্যবসায়ীক সহ অনেকেই অভিযোগ করেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগমারা প্রতিনিধি মো: আফাজ্জল হোসেন / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.