অস্ত্রচুক্তির ৪ কোটি ডলারের দুর্নীতি পেয়েছে ইউক্রেন

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে অস্ত্র কেনা নিয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে। দেশটির সিকিউরিটি সার্ভিস (এসবিইউ) দাবি করেছে, প্রায় ৪ কোটি মার্কিন ডলার মূলের সামরিক অস্ত্র ক্রয়ে দুর্নীতি হয়েছে।
গত শনিবার (২৭ জানুয়ারি) এমন তথ্য জানায় সংস্থাটি। খবর আলজাজিরার।
এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঁচ কর্মকর্তা ও একটি অস্ত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান লভিব আর্সেনালকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন ইউক্রেনের সীমান্ত পার হওয়ার সময় আটক হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে; দোষী সাব্যস্ত হলে ১২ বছরের জেল হতে পারে বলে জানিয়েছে এসবিইউ।
এসবিইউর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের আগস্টে সেনাবাহিনীর জন্য এক লাখ মর্টার শেল কিনতে একটি চুক্তি করেছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এর জন্য অগ্রিম টাকাও নিয়েছিলেন তারা। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন অস্ত্র ইউক্রেনে আসেনি। বরং একটা বড় অর্থ বিদেশি ব্যাংক একাউন্টে স্থানান্তরিত হয়েছে।
তদন্তে দেখা যায়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক ও বর্তমান কজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা এবং একটি অধিভুক্ত কোম্পানির শীর্ষস্থানীয়রা এর সঙ্গে জড়িত।
দুর্নীতির বিষয়টি কিয়েভের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে প্রায় দুই বছরের যুদ্ধ চলাকালীন ইউক্রেনের জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেল জানিয়েছেন, চুরি করা অর্থ জব্দ করা হয়েছে এবং শিগগিরই তা প্রতিরক্ষা বাজেটে ফেরত দেয়া হবে।
ইউক্রেনে দুর্নীতি এখন একটি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুদ্ধকালীন এ সময়ে যখন কিয়েভ চেষ্টা করছে জনগণের মনোবল চাঙ্গা রাখার জন্য। এছাড়াও দেশটির ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের ক্ষেত্রেও এটি একটি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে বেশ কয়েকটি দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ বরখাস্ত হন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.