অসহায় মানুষের হাসিই তাঁর জীবনের সুখ, গরীবের সহায় প্রবাসী লালপুরের মেয়ে চম্পা আপা

নাসিম উদ্দীন নাসিম: বিশেষ প্রতিনিধি: বাঙালি গৃহবধূ বলতে চট করে আমাদের চোখের সামনে নারীর যে চেহারা ফুটে ওঠে তা থেকে তিনি আলাদা । বাঙালি নারীর মতোই তিনি সহজ-সরল ও মার্জিত। তবে তাঁর কিছু বিশেষ গুণ আছে।

তিনি প্রবাসী ,সংগ্রামী, পরোপকারী এবং পরিশ্রমী। পরিশ্রম করে শুধু নিজেরই নয় এলাকার অসহায় ও গরীব মানুষের আশ্রয়স্থল।। তাঁর সেবামূলক কাজের কথা শুনে খুব ভালো লাগলো ।

লালপুরের এক শিক্ষাবিদ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন , অসহায়দের সহায় শব্দটির পর পরই নামটি যোগ হয়েছে চম্পা জামানের। ‘মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা থাকে তাঁর সব সময়।’প্রচারবিমূখ মানুষ তাই অনেকেই জানেনা ।বললেন, ‘নিজের সবটুকু সামর্থ্য দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন থেকে। আমাদের সমাজে আরও অনেক চম্পা প্রয়োজন।’

আর চম্পা জামান বললেন, অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে তার বিনিময়ে চাওয়া-পাওয়ার কিছুই নেই। অসহায় মানুষের হাসি থেকে জীবনের সুখ খুঁজে পান তিনি। নিজেকে মানব সেবায় নিয়োজিত করেছে তিনি। একের পর এক মানবসেবা মূলক কাজ করে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন নাটোরের লালপুর উপজেলার সিঙ্গাপুর প্রবাসী চম্পা জামান।

তিনি লালপুর উপজেলার ২নং ঈশ্বরদী ইউনিয়নের গৌরিপুর গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী হাসানুজ্জামানের স্ত্রী ও সিঙ্গাপুরের এইস.সি. জেড কোম্পানীর পরিচালক । তিনি দরিদ্র অসহায় নারীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা, মেধাবীদের বৃত্তি প্রদান,দুস্থ শিশুদের পোশাক কিনে দেওয়া , দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ কিনে দেওয়া, গরিব মানুষদের শীতবস্ত্র বিতরণ, ভূমিহীনদের মাথা গুজার ঠাই বা বাড়ি করে দেওয়া, মসজিদ ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহযোগীতা ও মেরামত সহ বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন ত ।

এ বিষয়ে কত দিন থেকে তিনি কাজ করছেন বলেন জানতে চাইলে চম্পা জামান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমি ২০০৮ সাল থেকে সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। এর আগে আমার বড় ছেলে সম্রাটের অকাল মৃত্যু হয়। সেই থেকে আমি সাধারণ মানুষের উপকার করতে থাকি। এরপর তার নামে সম্রাট চ্যারিটেবল ট্রাস্ট সমিতি গঠন করি।

লালপুর উপজেলার দুস্থ ও অসহায় মানুষের বিভিন্ন সেবা করে থাকি এই সম্রাট চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এর পক্ষ থেকে । আমি যতদিন বাঁচবো আমার সাধ্য মতো অসহায় মানুষের সেবা করে যাবো। এ যাবৎ আমি কমপক্ষে ৫০ জন অসহায় নারীকে চোখের অপারেশন করিয়েছি। একজন গরীব মানুষের কিডনি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

আমি সম্পূর্ণ খরচ বহন করে তার চিকিৎসা ব্যবস্থা করে দিয়েছি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কত লোকের পাশে দাঁড়াতে পারি, এটাই আমার চিন্তা।’ বর্তমানে তিনি সুস্থ হয়ে কাজ করে সংসার চালাচ্ছে।

এছাড়া আমার নিজস্ব অর্থায়নে মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান করে দিয়েছি। শীতার্ত মানুষদের শীতবস্ত্র বিতরণ ও পিছিয়ে পড়া নারী শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক ভাবে সহযোগীতা করে থাকি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি মো. নাসিম উদ্দিন নাসিম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.