অসমাপ্ত ড্রের্নে দূর্গন্ধ ,অভিযোগ পৌরবাসীর

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁয়ের রাণীশংকৈল পৌরশহরের ড্রেনের বেহাল অবস্থা। জাইকার ড্রেনের গর্তের ময়লা আবর্জনার দূর্গন্ধে ভুগছেন পৌরবাসী। বর্তমানে জাইকার কাজ চলমান রয়েছে। এলাকাবাসির অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও থেমে থেমে চলছে ড্রেনের কাজ।

আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের চৌরাস্তা মোড়ে ইউনুছ আলীর ভাতের হোটেলের সাথে অসমাপ্ত ড্রেনের বিশাল গর্তে পানি জমা হয়ে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আসে পাশে দূর্গন্ধে থাকা যায়না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় এক ঔষুধ ব্যবসায়ী । গর্তের মধ্যে পচা পানিতে ময়লা আর্বজনা।
বাঁেশ তৈরি করা মাচার উপর দিয়ে হেঁটে যেতে হয় ইউনুছ আলীর ভাতের হোটেলে। হোটেলের মালিক ইউনুছ আলী বিটিসি নিউজকে বলেন, এই ড্রেনের দূর্গন্ধ ছড়ানোর কারনে তার দোকানে বেচাকেনা কমে গেছে। স্থানীয় একজন ব্যবসায়ী বলেন, রাণীশংকৈল পৌর শহরের প্রান কেন্দ্রে ‘ইউনুছ আলীর ভাতের হোটেল’এর নীচে অসমাপ্ত ড্রেনটি প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের অবহেলার কারনে ময়লা-আবর্জনায় নোংরা পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘ ৬ মাস আগে ড্রেনের সংস্কারের জন্য ঠিকাদার গর্ত করে রেখে চলে যায়।ধীরে ধীরে গর্তে নোংরা আবর্জনা পরে দূর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। এর পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে কাজটি সমাপ্ত করার জন্য অনুরোধ করেও কোন আমলে নিচ্ছেন না বলে জানান ইউনুছ আলী।
স্থানীয় কাউন্সিলর সেফা জানান প্রকৌশলীর অবহেলার কারনে এই ভোগান্তিতে ভুগছে পৌরবাসী। জাইকার নগর প্রকৌশলী রাসেদুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে জানান, ‘মামুন এন্টার প্রাইজ প্রতিষ্ঠানটির ঠিকাদার জাইকার এ ড্রেনের কাজটি ৩৪৫ মিটার ৩৫ লক্ষ টাকায় কাজ করছে। ড্রেন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আমরা লিখিত অভিযোগ করেছি।
তার বীল ভাতা পেমেন্ট সব বন্ধ করা হয়েছে ,এমনকি আমাদের হাই অথোরেটি না দেখা পর্যন্ত ঠিকাদারকে কোন পেমেন্ট দিব না’।। এদিকে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মামুনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি সংশ্লিষ্ট পৌরসভার প্রকৌশলীরকে দায়ী করেন এবং কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করবেন বলেও জানান।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি সফিকুল ইসলাম শিল্পী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.