কক্সবাজারপ্রতিনিধি: সীমান্ত ঘেঁষা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবারও গোলাগুলি হচ্ছে। আর এই গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত এলাকায়। এতে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের খারাংগাগুনা ও উলুবনিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন ‘দুদিন ধরে গোলাগুলির শব্দ আসছে। ফলে খারাংগাগুনা ও উলুবনিয়া গ্রামের ঝুঁকিতে থাকা প্রায় ৪০০ মানুষের তালিকা তৈরি করেছি।’
টেকনাফ ২-বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার বলেন, ‘সীমান্তে ২৪ ঘণ্টা সজাগ রয়েছে বিজিবি। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি। অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে আছে বিজিবি।’
এদিকে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে এখন আর গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল বিস্ফোরণে সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত মো. ইকবাল (১৭) নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হন। আহত হয়েছেন পাঁচ জন। একই দিন দুপুরে সীমান্ত এলাকা থেকে গরু আনতে গিয়ে মাইন বিস্ফোরণে উইনু থোয়াইং তঞ্চঙ্গ্যা নামে একজনের পায়ের নিম্নাংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের বাংলাদেশ অভ্যন্তরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি বুলেট এসে পড়ে। ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় পড়ে। তার আগে ২৮ আগস্ট বিকাল ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা একটি মর্টারশেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তুমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.