অর্ধেক ভাড়া মওকুফ হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের, বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অসন্তোষ শিক্ষার্থীদের

হাবিপ্রবি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: আজ রবিবার (১০ মে) হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) সংলগ্ন বাঁশেরহাট মেস মালিক সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যৌথ আলোচনায় মেস মালিকরা মেস ভাড়া অর্ধেক ছাড় দেবার ঘোষণা দেন। মিটিয়ে আরও যেসব লিখিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়:
১. এপ্রিল ২০২০ হতে যতো মাস করোনা ভাইরাস জনিত দূর্যোগ চলবে ততমাস শিক্ষার্থীরা ৫০ শতাংশ মেস ভাড়া পরিশোধ করবে এবং যেই মাসে বিশ্ববিদ্যালয় চালু হবে সেই মাসে ১০০ শতাংশ ভাড়া দিতে হবে।
২. ৫০ শতাংশ মাসিক মেস ভাড়ার সাথে বিদ্যুৎ বিল সাপেক্ষে শিক্ষার্থীরা প্রদান করবে।
৩. মানবিক কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা নিজ নিজ মেসের বুয়া বিল প্রদান করবে।
৪. শিক্ষার্থীরা মেস ভাড়া মেস মালিক বরাবর সংশ্লিষ্ট মেসের নিয়মানুযায়ী যথা সময়ে প্রদান করবে। কোন মাসে বকেয়া রাখা যাবেনা।
আজকের মেস মালিক ও প্রশাসনের মিটিংয়ের গৃহীত সিদ্ধান্তে মেস মালিক সমিতির সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদক সহ বাঁকি সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে প্রক্টর প্রফেসর ড. মো: খালেদ হোসেন এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ স্বাক্ষর করেন।
এ বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে পরিসংখ্যান তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী লিফাত আরা বলেন,
এখানে শিক্ষার্থীদের কোন দিকটা দেখলো বুঝলাম না। মেসে না থেকে তাও ৫০% দিতে হচ্ছে।  আবার বুয়া বিল কেন দিব? মানবিক দিক বলে বুয়া বিল চাপানোর কোনো মানে হয় না। এদিকে শিক্ষার্থীদের অবস্থা খারাপ আর সবাই আছে আমাদেরকে লুটপাট করতে । আমরা বুয়াকে সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু দিতে পারি তবে বুয়া বিল দিবো না। বিদ্যুৎ ব্যবহার করতেছি না তাহলে বিদ্যুৎ বিল কোথা থেকে আসতেছে? আবার মাসের শুরুতে মাসের ভাড়া! যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে মানবিক হতে বলা হচ্ছে সেখানে কিনা ব্যবসা চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখা কিছুতেই এর দায় এরাতে পারে না। আপনারা এই ৫০% ভাড়া মালিকরা নিচ্ছেন ঠিক আছে কিন্তু আমরা এতদিন মেসে না থেকে বিদ্যুৎবিল কেন দিবো। যেখানে মেস আপনাদের যেগুলো আমরা ব্যবহার করছি না। বাঁশেরহাটের মেসের এরকম অনেক অনিয়ম রয়েছে যেমন ১বছরের চুক্তি,বানিজ্যিক বিদ্যুৎ বিল,সাধারণ ভাড়া থেকে ৩গুণ ভাড়া বেশি নেয়া। মেস মালিকরা এগুলো নিয়ম নিজেরা তৈরী করে ব্যবসা চালাচ্ছে। ভুক্তভোগী হচ্ছি আমরা সাধারন স্টুডেন্টরা। আমাদের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আপনাদের অবশ্যই এই বিষয় গুলো দেখা দরকার “।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর হাবিপ্রবি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি মোঃ মিরাজুল আল মিশকাত। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.