অরুণাচলের ৩০ স্থানের নতুন নাম দিল চীন, ক্ষুব্ধ ভারত

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে ভারত-চীনের মধ্যে আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। অরুণাচলের ৩০টি জায়গার নতুন নামকরণ করেছে বেইজিং। এমনকি, ১ মে থেকে এই নতুন নামগুলো কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছে চীন।
সোমবার (১ এপ্রিল) অরুণাচলের ৩০টি অঞ্চলের নাম নিজেদের মতো করে প্রকাশ করে চীন। এ নিয়ে চতুর্থ দফায় প্রদেশটির বিভিন্ন এলাকার চীনা নাম প্রকাশ করলো দেশটি।
এবার ১১টি আবাসিক এলাকা, ১২টি পার্বত্য এলাকা, ৪টি নদী, ১টি হ্রদ, ১টি গিরিপথ ও ১টি ফাঁকা ভূমির নাম রেখেছে চীন। চীনের বেসামরিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এই তালিকা প্রকাশ করে জানানো হয়েছে সামনের মাসের প্রথম দিন থেকেই এসব নাম কার্যকর হতে যাচ্ছে।
এর আগে ২০১৭, ২০২১ ও ২০২৩ সালে চীন তিন দফায় অরুণাচলের বিভিন্ন এলাকার নাম নিজেদের মতো করে রেখেছিল। ২০১৭ সালে প্রথমবার অরুণাচলের ছয়টি স্থানের চীনা নাম প্রকাশ করা হয়। পরে ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় ১৫টি আর ২০২৩ সালে তৃতীয় দফায় আরও ১১টি স্থানের নামের তালিকা প্রকাশ করে চীন।
এদিকে, বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই চরম ক্ষুব্ধ করেছে ভারতকে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সাফ কথা, আপনার বাড়ির নতুন নাম দিলে, বাড়িটা কি আমার হয়ে যাবে? এসব নামকরণ করে কোনো লাভ নেই। অরুণাচল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে ও থাকবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, নির্বোধের মতো কাজ করেছে চীন। নতুন নামকরণ করলেও বাস্তবতা বদলে যাবে না। অরুণাচল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে আর থাকবে। বেইজিংয়ের নতুন এই নামকরণ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
অরুণাচলকে চীন নিজেদের রাজ্য ‘জ্যাংনান’ হিসেবে দাবি করে। বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের বিবাদ চলে আসছে। একদিকে ভারতের দাবি, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, অন্যদিকে চীনও প্রদেশটিকে নিজেদের দাবি করে আসছে।
সম্প্রতি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই রাজ্যে দু’টি দীর্ঘ টানেল উদ্বোধন করেন। টানেল দুটি সেনাবাহিনীর জন্য খুবই প্রয়োজন ছিল।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, টানেল উদ্বোধনের পর থেকেই বেইজিং অরুণাচল নিয়ে নতুন করে বিবাদ শুরু করে। এরপর থেকেই মূলত জ্যাংনান অর্থাৎ অরুণাচল নিজেদের অংশ বলে আন্তর্জাতিক মহলে প্রচার শুরু করে চীন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.