অভিনব কায়দায় প্রতারণা: র‌্যাবের হাতে প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ৩ জন গ্রেফতার

বিশেষ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: ডিজিটাল পদ্ধতিতে আল্টিমা ফার্ম মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমে অবৈধ ক্রিপ্টো কারেন্সি লেনদেন এবং জনসাধারণের বিপুল অর্থ প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ৫ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার স্বরুপনগরের মোঃ বাবলু আক্তারের ছেলে (মূলহোতা) মোঃ আলিউল আজিম (৩৫), গোমস্তাপুর উপজেলার পুরাতন প্রসাদপুরের রকিবুল ইসলাম তৌফিক এর ছেলে মোঃ শামসুদ্দিন (২৫) ও একই উপজেলার কলোনী ডাইনপাড়ার মোঃ বাবলু আলীর ছেলে মোঃ আরিফ হোসেন (২৫)।
সোমবার গভীর রাতে র‌্যাবের এক প্রেসনোটে জানানো হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল ১৫ মে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পৌরসভার উদয়ন মোড়স্থ আলাউদ্দীন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের ভিতর হতে মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমে অবৈধ ক্রিপ্ট কারেন্সি লেনদেন এবং জনসাধারণের বিপুল অর্থ প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ৩ জন সদস্য মোঃ আলিউল আজিম (৩৫) (মূলহোতা), মোঃ শামসুদ্দিন ও মোঃ আরিফ হোসেনকে গ্রেফতার করে। এঘটনায় জেলার গোমস্তাপুর থানায় মামলা করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার দীর্ঘদিন ধরে প্রতারনার করে আল্টিমা ফার্ম মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অবৈধ ক্রিপ্টো কারেন্সি লেনদেন এবং অতিরিক্ত অর্থের লোভ দেখিয়ে সাধারণ জনগনের লক্ষ টাকা আত্মসাৎ কারী একটি চক্রের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আভিজানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তে বেরিয়ে আসে, উক্ত মোবাইল অ্যাপ এ এজেন্টের মাধ্যমে নগদ অর্থ দিয়ে  (PLCU) নামে পয়েন্টে কেনা হয়। যার মাধ্যমে শেয়ার ক্রয়ে দাম বৃদ্ধি সাপেক্ষে লভ্যাংশ প্রদান করা হয়। এছাড়াও একজনের রেফারেন্সে আরেকজনের একাউন্ট খুলেও অতিরিক্ত ডলার আয় করা যায়। এ সকল লোভনীয় অফারের ফাঁদে ফেলে অসংখ্য সাধারণ মানুষের লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে চক্রটি।
উক্ত অপারেশনে আল্টিমা এ্যাপস্ এর কাজে ব্যবহৃত ০৬টি মোবাইল ফোন, ০৮টি সীমকার্ড এবং বিভিন্ন গ্রাহকের আল্টিমা এ্যাপস্ সম্বলিত কার্ড ২২ টি জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে এ ধরনের সাইবার অপরাধ শহর অঞ্চল থেকে গ্রাম অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতারকরা গ্রামের মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদেরকে টার্গেট করছে। র‌্যাব-৫, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের ধারাবাহিক অভিযানের দ্বিতীয় অভিযানে তিনজন সহ এখন পর্যন্ত এ চক্রের সর্বমোট পাঁচজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। অন্যান্যদের ধরতে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। অভিযানের পাশাপাশি গ্রামের ভুক্তভোগী সহজ-সরল মানুষদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.