অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার হলেই আদালতে তোলার নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে

(অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার হলেই আদালতে তোলার নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পর যেকোনো অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার হলে তাকে ১০ দিনের মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন নিউইয়র্কের ফেডারেল আদালত। এর ফলে কোনো অীভধ ইমিগ্র্যান্টকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য আর আটক রাখতে শহরের ইমিগ্রেশন বিভাগ।
গত ৩০ নভেম্বর নিউইয়র্কের ফেডারেল আদালতের বিচারক এলিসন জে নাথান এ রায় দেন। রায়ে বলা হয়েছে, কোনো অভিবাসীকে বিনা বিচারে অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখা যেতে পারে না। কোনো আইন বা নির্দেশনা দিয়ে একজন মানুষের মানবিক এই অধিকার খর্ব করা যেতে পারে না।
২০১৮ সালে এমন আটক অভিবাসীদের গড়ে ১১ দিনের মধ্যে আদালতে উপস্থাপন করা হতো। এমনও ঘটনা ঘটেছে, ইমিগ্রেশন বিভাগ আটক অভিবাসীদের তিন মাসের বেশী সময় পরও আদালতে উপস্থাপন করছে না।
আদালতে এ মামলাটি লড়ছেন ফেডারেল আদালতের অ্যাটর্নি অ্যাডভোকেট জেইন। তিনি বলেন, ইমিগ্রেশন বিভাগের আটককেন্দ্রে অমানবিক অবস্থায় কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস অভিবাসীদের আটক রাখার ঘটনা ভয়ঙ্কর।
আদালতের রায়ের মাধ্যমে এমন আটক অভিবাসীদের দ্রুত আদালতে উপস্থাপন করার বিষয়টি সামনে এল। চলমান করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময় এ বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আদালত বলেছেন, আর কোনো অভিবাসীকে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেন যেতে না হয়।
নাগরিক অধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আটক এমন অভিবাসীদের মাসের পর মাস আটককেন্দ্রে রাখা হয়। এর মধ্যে ৪০ শতাংশই পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে থাকেন।
আটক অভিবাসীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশরেই যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ অভিবাসনের নথিপত্র থাকে। এর মধ্যে অভিবাসন রেকর্ডে সামান্য ভুল বা অন্য কোনো অপরাধের জের হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আপিল করা হবে কি না, তা এখনো জানা যায়নি। ক্ষমতার পালা বদলের এই সময়ে ট্রাম্প প্রশাসন পাল্টা কোনো অবস্থান নেবে না বলে আশা করছে নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলো।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর অভিবাসন নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ শুরু হয়। সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসা বা দেশের অভ্যন্তরে নথিপত্রহীন অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন বিভাগ দীর্ঘদিন আটক রাখছিল।
এ নিয়ে নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলো মামলা দায়ের করে। ট্রাম্পের ক্ষমতার মেয়াদে প্রথমবারের মতো এমন মামলায় অভিবাসীদের অধিকারের পক্ষে রায় পাওয়া গেছে। সিভিল লিবার্টি গ্রুপের পক্ষ থেকে রায়ের প্রশংসা করে এটিকে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে বিরাট বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.