অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

বিশেষ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রাজারামপুর ও নামোরাজারামপুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী মহানন্দা নদীর বিস্তৃর্ণ এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থানীয় এলাকাবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত এএসপি মোঃ গোলাম জাকারিয়া, ইসলামপুর ইউ.পি সাবেক সদস্য মোঃ জালাল উদ্দীন, এ্যাড. মোঃ খাইরুল ইসলাম, এসময় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন, পৌর কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম মিজহাজ, তৌহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক মনোয়ার হোসেন জুয়েল, শিক্ষক মারুফুল হক, হেলাল উদ্দীনসহ অন্যরা। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি স্বারকলিপি প্রদান করা হয়। মানববন্ধনে এলাকার বিক্ষুব্ধ সহ¯্রাধিক স্থানীয় নারী পুরুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।
জেলা প্রশাসনকে নতুনভাবে বালু মহল ইজারা প্রদান না দেয়ার আহ্বানে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকবাসী। এসময় রাজারামপুর মালোপাড়া পিয়ার বিশ্বাসে ঘাট এলাকায় ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবৈধভাবে নদী ড্রেজিং ও ফসলী জমির মাটি কাটা অবিলম্বে বন্ধের দাবী জানানো হয়।
মানবন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা জানান, সদর উপজেলার ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ড সংলগ্ন এলাকায় মহানন্দা নদী থেকে প্রায় ২৫ বছর ধরে অবৈধভাবে ড্রেজারের সাহায্যে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন ও সেই বালু ঘনবসতিপূর্ণ গ্রামের মধ্য দিয়ে পরিবহন করা হচ্ছে। ফলে গ্রামের একমাত্র রাস্তাটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে করে একদিকে বিভিন্ন স্থাপনা ও কৃষি জমি যেমন ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে, অন্যদিকে নদীগর্ভ থেকে বালু উত্তোলনের কারনে গত বছর চারজনের প্রাণহানি ঘটেছে।
এ সময় সংশ্লিষ্ট এলাকা রক্ষার স্বার্থে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবী জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, প্রায় ২৫ বছর রাজারামপুর ও নামো রাজারামপুর এলাকার পাশ দিয়ে প্রবাহমান মহানন্দা নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এছাড়া নদী সংলগ্ন বিস্তৃর্ণ ফসলী জমির মাটি কাঠছে দূর্বৃত্তরা।
এনিয়ে বহু আন্দোলন, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার, প্রশাসনকে বিষয়গুলো বারবার অবহিত করা হলেও কেউ কর্ণপাত করছেন না। ফলে এসব এলাকা ও এলাকাবাসী অনেকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এছাড়া এসব বালু ও মাটি বহনকারী যানবাহনের কারণে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। আসন্ন বাংলা নববর্ষে নতুন করে ইজারা না দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসনকে আহ্বান জানান বক্তারা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী প্রদান করা হয়। শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.