অবিশ্বাস্য মিসেও যেভাবে ‘গ্রেট’ হলান্ড

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ইতিহাদে ম্যানচেস্টার সিটি বনাম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যাচ। সিটি পিছিয়ে ১–০ গোলে। প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটের মাথায় সিটি আক্রমণটা তৈরি করেছিল বাঁ প্রান্ত দিয়ে। জেরেমি ডকু বল বাড়ান রদ্রিকে। স্প্যানিশ মিডফিল্ডারকে কড়া পাহাড়ায় রেখেছিলেন ইউনাইটেডের দুই ডিফেন্ডার।
পোস্টের কাছাকাছি থাকা আর্লিং হলান্ডের সঙ্গেও ছিলেন দুই মার্কার। যে কারণে রদ্রি বল বাড়ান ডান প্রান্তে ‘আনমার্কড’ ফিল ফোডেনকে। সিটি মিডফিল্ডারকে সামলাতে ইউনাইটেড রক্ষণ ব্যস্ত হয়ে পড়ায় গোলমুখে অরক্ষিত হয়ে পড়েন হলান্ড। তাঁকে আটকাতে ছিলেন না ইউনাইটেড গোলকিপারও!
এমন পরিস্থিতিতে ফোডেন বুদ্ধিদীপ্তভাবে হেডে বল পাঠান নরওয়েজীয় স্ট্রাইকারকে। ১ গোলে পিছিয়ে থাকা সিটিকে সমতায় ফেরাতে হলান্ডকে বলে সামান্য টোকা হলেই চলত। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে ‘পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ’ থেকে হলান্ড সেই গোল মিস করলেন! পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায় তাঁর ভলি।
সহজ সুযোগ হাতছাড়া করায় তাৎক্ষণিভবে সমালোচনার মুখে পড়েন হলান্ড। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এটিকে প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বাজে মিস’ বলেন। আরেকজন লিখেছেন, ‘গোললাইন থেকে দারুণভাবে বল ক্লিয়ার করেছে হলান্ড।’
ম্যাচ শেষে সিটি কোচ পেপ গার্দিওলাকে এই মিস নিয়ে কথা শুনতেই হতো। গার্দিওলা এ নিয়ে বলেছেন, ‘অসাধারণ সব খেলোয়াড়ের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। তাদের অনেককে কোচিং করানোর সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তারা এসব (সুযোগ হাতছাড়া করা) তাৎক্ষণিকভাবে ভুলে যায়। তারা যত দ্রুত সম্ভব এটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে। ফুটবলার এবং বাস্কেটবল খেলোয়াড়দেরও আমি দেখেছি মিস করতে। এরপর তারা একটা হাসি দেয় এবং কাজে মনোযোগ দেয়। হলান্ডও তা–ই করে। ভুলে যাওয়ার অবিশ্বাস্য দক্ষতা আছে তার। গ্রেট খেলোয়াড়দের ধরনও এটা।’
সহজ সুযোগ মিস করলেও পরে অবশ্য সিটির ৩–১ গোলের জয়ে শেষ গোলটি এসেছে হলান্ডের কাছ থেকেই। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.